IP (Internet Protocol)
IP address কে সহজে বা সংক্ষেপে বলা হয় IP. এই সংখ্যার লেভেল গুলো এক ধরনের ইউনিক এড্রেস হিসাবে কাজ করে। যার মাধ্যমে ইন্টারনেট বা লোকাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সহজে ডিভাইস গুলোকে খুঁজে বের করা যায়।
ইন্টারনেট প্রোটোকল বা IP address মূলত দুই (২) প্রকার। যেমন-
Private IP address
Public IP address
লোকাল নেটওয়ার্ক এর অস্তর্গত বিভিন্ন ডিভাইস গুলো একাত্রে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে Private IP address ব্যবহার করা হয়। নিজের ব্যাক্তি গত হোম নেটওয়ার্ক বা বিসনেস নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত থাকা ডিভাইস এর আইপি এড্রেসটি হলো Private IP address.
আপনি যখন নিজের অধিক ডিভাইস গুলো WiFi network এর সাথে সংযুক্ত করা হয়, তখন সেই ডিভাইস গুলোর মধ্যে একটি network address তৈরি হয়। এই নেটওয়ার্ক এড্রেসকে বলা হয় Private IP address.
প্রতিটা ইউজারের ক্ষেত্রে Public IP address আলদা আলদা থাকে। এই ধরনের আইপি এড্রেস গুলো IPS দ্বারা আপনাকে প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনার যদি হোম নেটওয়ার্ক বা বিসনেস নেটওয়ার্ক থাকে,
তাহালে সেগুলোর ক্ষেত্রেও মূখ্য রুপে এই Private address ব্যবহার করা হয় Internet network ব্যবহার করার ক্ষেত্রে। আশাকরি, সহজে বুঝতে ইন্টারনেট প্রোটোকল বা নেটওয়ার্ক প্রোটোকল এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে।
Class or Type of IP
৫ টি ক্লাস নিয়ে IP গঠিত। ক্লাস গুলো হচ্ছেঃ
আমরা এবার জানবো কিভাবে IP এর ক্লাস গুলো কাজ করে।
Class A এর IP শুরু হয় 0 থেকে, শেষ হয় 127 এ গিয়ে ।
যেসব IP Address এর প্রথম Bit বাইনারি 0 থেকে শুরু হয় সেগুলো হচ্ছে Class A এর IP. এ ধরনের IP এর ক্ষেত্রে প্রথম 8 Bit নেটওয়ার্ক Bit আর বাকি 24 Bit হচ্ছে Host.
নেটওয়ার্ক Bit যদি Host Bit এর তুলনায় কম হয় তাহলে ধরে নিতে হবে এটা Class A এর IP Address.
উদাহরণঃ 10.0.0.1 থেকে 126.255.255.254
Class B
Class B এর IP শুরু হয় 128 থেকে আর শেষ হয় 191 এ গিয়ে।
এই IP Address এর প্রথম ২ টি Bit এর মান হবে 10. এ ধরনের IP এর ক্ষেত্রে প্রথম 16 Bit হবে নেটওয়ার্ক Bit আর বাকি 16 Bit হবে Host Bit.
যদি নেটওয়ার্ক Bit এর সংখ্যা প্রায় Host এর সমপরিমাণ হয় তাহলে ধরতে হবে এটি Class B এর IP Address.
উদাহরণঃ 128.1.0.1 থেকে 191.255.255.254
Class C
Class C এর IP শুরু হয় 192 থেকে আর শেষ হয় 223 এ গিয়ে।
এই IP Address এর প্রথম ৩ টি Bit এর মান হবে 110. এই ধরনের IP এর ক্ষেত্রে 24 Bit Network আর 8 Bit Host.
যদি নেটওয়ার্ক Bit এর সংখ্যা Host এর তুলনায় বেশি হয় তাহলে Class C এর IP Address সিলেক্ট করতে হবে।
উদাহরণঃ 192.0.1.1 থেকে 223.255.254.254
Class D
এটি বিশেষ ধরনের IP Class যাকে Multicast Network বলা হয়। কোন Host Network এর সকল Router কে খুঁজে বের করার জন্য এই ধরনের IP ব্যবহার করা হয় ।
এই Class এর IP 224 থেকে 239 পর্যন্ত হয়ে থাকে।
উদাহরণঃ 224.0.0.0 থেকে 239.255.255.255
Class E
Class E এর IP গুলো সাধারনত গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, Class E তে IP 240 থেকে শুরু হয়ে 255 তে গিয়ে শেষ হয়।
উদাহরণঃ 240.0.0.0 থেকে 254.255.255.254
IPv4
IPv4 হচ্ছে Internet Protocol Version 4 এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি হচ্ছে Internet Protocol এর ৪র্থ সংস্করণ এবং Standard Internetworking পদ্ধতির মূল প্রোটকল।
১৯৮৩ সালে IPv4 এর প্রথম সংস্করনের জন্য ARPANET(Advanced Research Projects Agency Network ) কর্তৃক এটি তৈরি করা হয়। IPv4 হল ৩২ বিট এর অ্যাড্রেস স্পেস যার মাধ্যমে প্রায় ৫ বিলিয়ন অ্যাড্রেস ব্যবহার করা সম্ভব। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে খুব অল্প সময়ের পরিবর্তনে অসংখ্য নেটওয়ার্ক ডিভাইস যুক্ত হচ্ছে ইন্টারনেট এর সাথে আর প্রত্যেকটি ডিভাইস এর জন্য একটি করে IP Address ব্যবহার হয়। নেটওয়ার্ক গবেষক দের মতে IPv4 প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। Internet Assigned Numbers Authority (IANA) একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করেন যার নামকরন করা হয় IPv6 (Internet Protocol Version 6). আমরা বর্তমানে আমাদের মোবাইল কম্পিউটার এ যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছি সেগুলো ও IPv4 এর নেটওয়ার্ক।
IPv6
IPv6 হল ১২৮ বিট এর একটি স্পেস যা প্রায় 340 Undecillion (Undecillion মানে ৩৪০ এর পর আরো ৩৬ টি ০) অ্যাড্রেস প্রধান করে। এরই মধ্যে দিয়ে অনেক জায়গায় IPv6 এর ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। IPv4 থেকে IPv6 এ রুপান্তরের ফলে ইন্টারনেট এ উভয় Protocol ব্যবহার হচ্ছে। আর এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য Internet Engineering Task Force (IETF) কয়েকটি সিস্টেম তৈরি করেছে।
সিস্টেম গুলো হচ্ছেঃ
Dual Stack
Tunneling
Translation
Dual Stack:
Dual Stack হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোন একটি নেটওয়ার্কে একই সাথে IPv4 ও IPv6 Protocol ব্যবহার করা যায়।
Tunneling:
Tunneling হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে IPv4 নেটওয়ার্ক এর মধ্য দিয়ে IPv6 এর প্যাকেট সমূহ চলাচল করতে পারে।
Translation:
এই পদ্ধতিতে একটি IPv4 ও IPv6 Protocol যুক্ত ডিভাইস এর মধ্যে যোগাযোগের জন্য NAT64 নামক একটি Translation পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। NAT64 এ IPv4 এ্যাড্রেস থেকে IPv6 এ্যাড্রেসে এবং একটি IPv6 এ্যাড্রেস থেকে IPv4 এ্যাড্রেসে প্যাকেটসমূহকে ট্রান্সলেট করা হয়।
- প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস (Private IP Address)
- পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস (Public IP Address)