গুগল পেজ র্যাংক
ওয়েবে একটা পেজ কত গুরত্বপূর্ন এবং এটার যথাযথ কর্তৃপক্ষ আছে কিনা,এবিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে গুগল পেজ র্যাংক দেয়।সংক্ষেপে পেজ র্যাংক হচ্ছে একটা পেজের জন্য ভোট,যে ভোট দিবে ওয়েবে থাকা অন্য পেজগুলি।
*পেজর্যাংক প্রকাশের জন্য ০ থেকে ১০ পর্যন্ত সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।
*কোন সাইটের (পেজের)পেজর্যাংক ১০ হলে বুঝতে হবে সেই সাইটকে গুগল সর্বোচ্চ গুরত্ব দিচ্ছে।
*পেজর্যাংক গুগল ৩/৪ মাস পরপর বিবেচনা করে অর্থ্যাৎ ৩/৪ মাস পরপর একটা সাইটের পেজর্যাংক পরিবর্তন হয়।
*ফেসবুকের বর্তমান পেজর্যাংক ১০,ইত্তেফাক এর ওয়েবসাইটের পেজর্যাংক ৪,কালের কন্ঠ ওয়েবসাইটের পেজর্যাংক ৪,ইয়াহুর পেজর্যাংক ৯
*বিভিন্ন সাইট আছে যেখানে যেকোন সাইটের URL টাইপ করে এন্টার দিলেই পেজর্যাংক দেখাবে (http://www.prchecker.info/check_page_rank.php),এছাড়া www.toolbar.google.com থেকে গুগল টুলবার ডাউনলোড করে ব্রাউজারে এনাবল রাখতে পারেন।গুগল টুলবারে একটা সাদাখন্ড আছে যেখানে সবুজ কালি এবং সংখ্যা দিয়ে পেজর্যাংক দেখায়।
* .gov এবং .edu এ সাইটগুলি গুগলের কাছে খুব গুরত্বপূর্ন,এসব সাইটে লিংক নিতে পারলে এটা আপনার সাইটের জন্য প্লাস পয়েন্ট।
* "nofollow" সাইটে লিংক দিলে গুগল এটা গগনা করেনা।"nofollow" "dofollow" বিষয়ে ব্লগ ফোরাম টিউটোরিয়ালে বিস্তারিত আছে
একটা ওয়েব পেজে যদি অন্য আরেকটা ওয়েব পেজের লিংক থাকে তাহলে অন্য এই পেজটির জন্য এটা একটা ভোট।আরও সহজভাবে বলি w3schools.com এ webcoachbd.com এর একটা লিংক থাকে তাহলে webcoachbd.com একটা ভোট পেল।এভাবে webcoachbd.com এই লিংকটা যতগুলি ওয়েবসাইটে থাকবে গুগল সেগুলি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে webcoachbd.com সাইটটি কত গুরত্বপূর্ন।
তবে গুগল সব সাইটের লিংক গগনা করেনা।পেজ র্যাংক ০ এরুপ হাজারটা সাইটে আপনার সাইটের হাজারটা লিংক থাকলেও আপনার পেজ র্যাংক বাড়বেনা।আর যদি পেজর্যাংক ৬ এরুপ কোন একটা সাইটে যদি আপনার সাইটের লিংক থাকে তাহলে একবারে আপনার পেজর্যাংক হয়ে যাবে ৫।
তবে পেজর্যাংক খুব গুরত্বপূর্ন কোন বিষয় নয়।পেজর্যাংকের কারনে সার্চ ইন্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP) কোন প্রভাব পরেনা।পেজর্যাংক ০ এমন সাইটও গুগলের প্রথম পেজে থাকতে পারে অপরদিকে বেশি পেজর্যাংকওয়ালা কোন সাইট গুগলের প্রথম পেজে নাও থাকতে পারে যদিও ওয়েবসাইটদুটি একই ধরনের এবং একই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করা হয়েছে।তাই আপনার সাইটের পেজর্যাংক না পেলে চিন্তিত হবার কোন কারন নেই।এমন অনেক সাইট আছে যাদের পেজর্যাংক অনেক ৩,৪,৫ অথচ এই সাইটগুলি দেখলে আপনি হাসবেন কারন ভিতরে কিছুই নেই শুধু অনেক সাইটে এই সাইটের লিংক আছে।পেজর্যাংক নিয়ে গুগলকে মেইল,তাদের ফোরামে লেখালেখিও অনেক হয়েছে।যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যায়।এমনকি ২০০৯ সালে গুগল ওয়েবমাস্টার টুল থেকে পেজর্যাংক বিষয়টি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।এছাড়া গুগলের পেজর্যাংক এর সমীকরনটিতেও যেসব প্যারামিটার আছে তা আসলে ইনকামিং লিংকের উপর ভিত্তি করেই।(অন্য সাইটে আপনার সাইটের লিংক থাকলে সেটা ইনকামিং লিংক)
* তবে কোন কোন SEO এক্সপার্ট বলেন যে পেজ র্যাংক এর কিছু প্রভাব আছে
আর একটা কথা আপনার সাইট যদি বেশি পেজর্যাংকওয়ালা হয় আর আপনি যদি এর থেকে কম পেজর্যাকওয়ালা সাইটের লিংক আপনার সাইটে দেন তাহলে আপনার পেজ র্যাংক কমবে বা সেই সাইটটির সাথে ভাগাভাগি হবে।অর্থ্যাৎ আউটবাউন্ড লিংক দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
অ্যালেক্সা র্যাংক
অ্যালেক্সাতে রেজিস্টার করে আপনার সাইটের তথ্য দিলে এরপর থেকে অ্যালেক্সাতে আপনার সাইটের র্যাংকিং দেখাবে।অ্যালেক্সার র্যাংকিং এ যদি আপনার সাইট ১ম এক লক্ষ সাইটের মধ্যে না থাকে তাহলে অ্যালেক্সা আপনার সাইটের যে র্যাংকিং দেখাবে তা সঠিক নয়।ধরুন অ্যালেক্সাতে আপনার সাইটের র্যাংকিং দেখাল ২১২২৫৪ নাম্বার তাহলে বুঝতে হবে এটা সঠিক নয় কারন এটা ১০০০০০ এর ভিতরে নেই।
১০০০০০ ভিতরে থাকলে মোটামুটি একটা সঠিক র্যাংকিং দিতে পারে।অ্যালেক্সা র্যাংকিং আসলে তাদের টুলবার (অ্যালেক্সা টুলবার) যারা ব্যবহার করে তাদের ভিজিটের উপর ভিত্তি করে করা হয়ে থাকে।আপনি একটা ওয়েবসাইট খুললেন লক্ষ লক্ষ ভিজিটরও আপনার সাইট ভিজিট করে কিন্তু যারা ভিজিট করে তাদের কেউ যদি অ্যালেক্সা টুলবার ব্যবহার না করে তাহলে আপনি কোন র্যাংকিং পাবেননা,পেলেও হয়ত ৩/৪ লক্ষ হবে আপনার র্যাংকিং।অপরদিকে আপনার সাইটের মাত্র যদি কয়েক হাজার ভিজিটর থাকে আর তারা সবাই যদি অ্যালেক্সার টুলবার ব্যবহারকারী হন তাহলে একমাসের মধ্যেই দেখবেন আপনার সাইটের র্যাংকিং শতকের ঘরে এসে গেছে।
ধরুন আপনার একটা সাইট আছে,দিনে হয়ত কয়েকশবার ভিজিট হয় এবং অ্যালেক্সাতে র্যাংকিং মনে করেন দুই লক্ষের ঘরে।এখন আপনি আপনার ১৫/২০ জন বন্ধুকে (যারা নেট ব্যবহার করে)বললেন যে বন্ধু তোরা তোদের ব্রাউজারে দয়া করে অ্যালেক্সা টুলবারটি ইনস্টল করে নে আর প্রতিদিন আমার সাইটে ৮/১০ বার করে ঢুকবি।ব্যস অ্যালেক্সার কেল্লা ফতে (দুর্গ বিজয়)।এবার দেখবেন একমাসেই আপনার র্যাংকিং দুইলক্ষ থেকে হয়ত দুই হাজারে চলে আসছে।এজন্য বিভিন্ন পত্র পত্রিকা,বিখ্যাত ব্লগ,ফোরামের অ্যালেক্সা র্যাংকিং এত বেশি কারন এসব একেকটা সাইটর পিছনে যদি ১০/১২ জন লোক নিযোগ দেয়া থাকে হতে পারে তারা কনটেন্ট লেখক,ওয়েব ডেভেলপার,ডিজাইনার বা যেকোন কিছু ।অর্থ্যাৎ এই সাইট নিয়ে তাদের সবসময় পরে থাকতে হয় এদেরকে বলাই থাকে আপনার সবাই অ্যালেক্সা টুলবার ব্যবহার করবেন।এদেরকে হয়ত দিনে সংশ্লিষ্ট সাইটে দিনে ৬০/৭০ বার ঢুকতে হয়।
*টুলবার ছাড়া সাইটে ঢুকলেও অ্যালেক্সা সেটা গগনা করে তাবে সেটার প্রভাব খুব অল্প
*অ্যালেক্সার একটা উইজেট আছে যদি আপনার সেটা আপনার সাইটে দেন তাহলে সেই উইজেটে প্রতি ক্লিকেই একবার করে ভিজিট হয়েছে অ্যালেক্সা ধরবে।(এই উইজেটে আপনার সাইটের র্যাংকিং এবং আপনার সাইটের লিংক কয়টি সাইটে আছে সে সম্পর্কে তথ্য থাকবে।যেমন:)
নিচেরটাতে একটা ক্লিক করিয়েনতো আমার সাইটের র্যাংকিং বাড়বে ;)
ব্লগ ফোরাম পোস্ট
বিভিন্ন বিখ্যাত ব্লগ,ফোরাম,সামাজিক যোগাযোগের সাইটে নিবন্ধন করে আপনার সাইট সম্পর্কে পোস্ট দিন।যেহেতু এই সাইটগুলিতে প্রতিদিন প্রচুর ভিজিটর আসে তাই তারা আপনার সাইটের খবর পেয়ে যাবে।ফোরামে স্বাক্ষর হিসেবে নিজের সাইটের লিংক ব্যবহার করুন।তাহলে যত পোস্টে মন্তব্য করবেন সবখানে আপনার সাইটের লিংক থাকবে।বিশেষ করে “dofollow” সাইটে বেশি পোস্ট বা মন্তব্য করুন।ফলে আপনার সাইটের ট্রাফিকতো বাড়বেই পাশাপাশি গুগল আপনার লিংকটি গগনা করবে।আর যদি “nofollow” সাইটে পোস্ট/মন্তব্য করেন তবে ট্রাফিক পাবেন কিন্তু গুগল আপনার লিংক গুনবেনা।কোন ব্লগ বা সাইট বা ফোরাম “dofollow” কিনা তা দেখতে ঐ সাইটের এমন কোন পোস্টে যান যেখানে মন্তব্যে কোন লিংক আছে,এবার এই পেজের সোর্স কোড দেখুন (ফায়ারফক্সে রাইট বাটন ক্লিক করে view page source).এখানে খুজে দেখুন লিংকের সাথে “nofollow” আছে কিনা,যদি থাকে তাহলে এটা “nofollow” সাইট আর “nofollow” “dofollow” কিছুই লেখা না থাকলে “dofollow” সাইট।যেমন সামহোয়ারইন ব্লগের পোস্ট "dofollow"
<a class='eng' href='http://www.webcoachbd.com' target='_blank' ><font face='solaimanlipi' size='3'>www.webcoachbd.com</font></a>
সামহোয়্যারইন ব্লগপোস্ট “dofollow” কিন্তু মন্তব্য “nofollow” মন্তব্যে লিংক আছে এমন পোস্ট এর সোর্স দেখবেন target=’_blank’ এর পর “nofollow” লেখা আছে।
ফায়ারফক্সে কয়েকটা একসটেনশন আছে যেগুলি ইনস্টল দিলেই তারাই ব্রাউজিং এর সময় বলে দেয় কোনটা “dofollow” আর কোনটা “nofollow” সাইট। NoDofollow নামের এডঅনটি দিয়ে এই সুবিধা পেতে পারেন।
কিওয়ার্ড গবেষনা
কিওয়ার্ড সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন এ একটা গুরত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।আপনার ওয়েবসাইটটি যে বিষয়ের উপর সেই ধরনের কিওয়ার্ড নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে।উদাহরনস্বরুপ আপনার সাইট যদি সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট টিউটোরিয়াল ভিত্তিক হয় তাহলে হোম পেজের টাইটেলে "সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট টিউটোরিয়াল" এই কিওয়ার্ডগুলি রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
*যদি কেউ সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট শিখতে চায় তাহলে সে কোন্ কোন্ শব্দ গুগলে লিখে সার্চ দিতে পারে এটা আপনাকে ভাবতে হবে এবং সেই শব্দগগুলি আপনার সাইটের হোমপেজের টাইটেল,সাইটের হেডিং ট্যাগগুলিতে শব্দগুলি রাখতে হবে।
*সাইটের কিওয়ার্ডের সাথে যেন কনটেন্টের মিল থাকে
সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন টার্ম
সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন জগতে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু প্রয়োজনীয় শব্দের আলোচনা :
ব্যাকলিংক (Backlink):অন্য একটা সাইটে আপনার সাইটের লিংক থাকলে এটা আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিংক।হতে পারে এই লিংক আপনার সাইটের হোমপেজ বা অন্য কোন পেজ এর লিংক।ব্যাকলিংক কে ইনকামিং লিংক বা ইনবাউন্ড লিংকও বলে।
আউটবাউন্ড লিংক (Outbound link):আউটবাউন্ড লিংক হচ্ছে ব্যাকলিংকের বিপরীত অর্থ্যাৎ অন্য সাইটের লিংক যদি আপনার সাইটে থাকে।আউটবাউন্ড লিংক কে আউটগোয়িং লিংকও বলে।
হোয়াইট হ্যাট এসইও (White hat SEO):সার্চ ইন্জিনের গাইডলাইন বা নীতিমালা ভঙ্গ না করে যদি SEO করেন তাহলে এ ধরনের অপটিমাইজেশনকে বলে হোয়াইট হ্যাট এসইও।এসব গাইডলাইন বা নীতিমালার মধ্যে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন নীতিটি হচ্ছে ওয়েবসাইট মানুষের জন্য তৈরী করুন যা উপকারী,সার্চ ইন্জিনের জন্য নয়।অন্যান্য নীতিমালার মধ্যে আছে ব্যাকলিংক,লিংক পপুলারিটি,কিওয়ার্ড গবেষনা,লিংক বিল্ডিং ইত্যাদি।হোয়াইট হ্যাট এসইও (White hat SEO) কে এথিকাল এসইও (Ethical SEO) বলা যায়।
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black hat SEO):এটা হোয়াইট হ্যাটের বিপরীত অর্থ্যাৎ সার্চ ইন্জিগুলির দেয়া নিয়মানুযায়ী অপটিমাইজ করলেননা।ব্ল্যাক হ্যাট এসইও টেকনিকের মধ্যে আছে কিওয়ার্ড স্টাফিং,ক্লকিং,অদৃশ্য টেক্সক্ট ইত্যাদি।একে আনএথিকাল (Unethical SEO) এসইও বলা যায়।
কিওয়ার্ড স্টাফিং (Keyword Stuffing):এটা ব্ল্যাক হ্যাট এসইও'র অংশ।ইউজার যেসব কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিতে পারে এধরনের কিওয়ার্ডগুলি দিয়ে পেজ ভর্তি করা অর্থ্যাৎ কিওয়ার্ড ওভারলোডিং।অনেকসময় ইনপুট ট্যাগে hidden এট্রিবিউট দিয়ে এধরনের কিওয়ার্ড ঢুকিয়ে দেয় ফলে ইউজারের কাছে এসব টেক্সট অদৃশ্য থাকে আর সার্চ ইন্জিনকে এসব পড়তে হয়।আবার পেজের রং যা আছে টেক্সটের রংও তাই করে দেয় ফলে ইউজার দেখতে পারেনা কিন্তু সার্চ ইন্জিন দেখে।কিওয়ার্ড স্টাফিংকে অনেক সময় কিওয়ার্ড লোডিং বলা হয়।
এসব করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ,সার্চ ইন্জিন টের পেলে ঐ সাইটকে কিক আউট করে দেবে।
কিওয়ার্ড ডেনসিটি (Keyword Density):একটা পেজে কোন একটা নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড কতবার ব্যবহৃত হয়েছে এটা কিওয়ার্ডটির ডেনসিটি।
লিংক পপুলারিটি (Link Popularity):এটা হচ্ছে একটা সাইটরে মান কিরকম তা নির্নয়ের জন্য,এটা কোয়ালিটি ইনবাউন্ড লিংকের (ব্যাকলিংক) উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে।সার্চ ইন্জিনগুলি লিংক পপুলারিটির উপর ভিত্তি করে তাদের এলগরিদম তৈরী করে থাকে যে একটা সাইট সার্চ ইন্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP) কোথায় থাকবে।
*কোয়ালিটি ব্যাকলিংক আর শুধু ব্যাকলিংকের মধ্যে পাথ্যর্ক হচ্ছে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক এমন সাইটে থাকবে যেটা আপনার সাইটের মতই।যেমন w3schools এ webcoachbd.com এর লিংক থাকলে এটা কোয়ালিটি ব্যাকলিংক আর যদি ফেসবুকে থাকে তাহলে এটা হবে শুধু ব্যাকলিংক।
লিংক ফার্ম (Link farm): লিংক ফার্ম হচ্ছে বেশ কিছু ওয়েবসাইট খুলে প্রতিটি সাইটের লিংক প্রতিটি সাইটে দেয়া।ফলে প্রতিটি সাইটের ব্যাকলিংক বৃদ্ধি পেল।এসব ধরা পরলে আপনার সাইটকে স্পামডেক্সিং এ গগনা করবে।
স্পামেডেক্সিং হচ্ছে সার্চ ইন্জিন আপনার সাইটকে এমনভাবে চিহ্নিত করবে যেন আপনি তাদের দেয়া গাইডলাইন ভঙ্গ করেছেন।আপনার সাইটকে যদি সার্চ ইন্জিন স্পামডেক্সিং করে ফেলে তাহলে আপনার পুরো SEO ব্যর্থতায় পর্যবশিত হল।বিভিন্ন কারনে আপনার সাইটকে স্পামডেক্সিং করতে পারে যেমন লিংক ফার্ম করলে,কিওয়ার্ড স্টাফিং করলে,ডুরওয়ে (Doorway pages) পেজ বানালে,ক্লকিং, সোজা কথা ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করলে।
গেটওয়ে বা ডুরওয়ে পেজ (Doorway page): এটা হচ্ছে এমন পেজ বানানো যেখানে খুব অল্প কয়েকলাইন থাকে আর এসব লাইনে শুধু কিওয়ার্ড থাকে ফলে সার্চ র্যাংকিং বাড়ে কিন্তু ইউজারদের জন্য তেমন কোন তথ্য থাকেনা।এই পেজে গেলে অন্য কোন পেজের লিংক থাকে বা রিডাইরেক্ট করে অন্য পেজে নিয়ে যায়।এটাকে এন্ট্রি পেজ,পোর্টাল পেজ,জাম্প পেজ,ব্রিজ পেজ ইত্যাদি বলা হয়ে থাকে।
ক্লকিং (Cloaking):এটা এমন একটা টেকনিক যেটা সার্চ ইন্জিনকে এক ধরনের কনটেন্ট দেখাবে আর ইউজারকে অন্যরকম কনটেন্ট দেখায়।এই পদ্ধতিটি তে যখন সার্ভারে কোন পেজের জন্য রিকোয়েস্ট যায় তখন আইপি এড্রেস বা ইউজার এজেন্ট দেখে বুঝে ফেলে এটা কোন সার্চ ইন্জিনের বট/ক্রাউলার/স্পাইডার/স্কুটার নাকি মানুষ।যখন দেখে স্পাইডার তখন এক ধরনের পেজ দেখায় আর মানুষ হলে আরেক ধরনের পেজ।
ইন্টারনাল লিংক (Internal Link): এটা হচ্ছে আপনার সাইটেই এক পেজে অন্য পেজের লিংক।এটা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন ।যেমন আপনার সাইট এ যদি ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল থাকে তাহলে একপেজ থেকে তারপরের পেজে যাওয়ার জন্য আগের পেজে এনকর টেক্সট দিয়ে লিংক দিবেন।এটা আপনার সাইটের ব্যাকলিংক হিসেবে কাজ করবে।এতে পেজর্যাংক বাড়ে।উইকিপিডিয়ার সাইটে দেখবেন প্রতি লাইনেই কতগুলি করে তাদেরই সাইটের লিংক থাকে।
ট্রাফিক (Traffic): কোন সাইট কত ভিজিট হচ্ছে এটা হচ্ছে সেই সাইটের ট্রাফিক।কোন সাইটের ট্রাফিক বাড়ছে অর্থ্যাৎ সেই সাইটের ভিজিট বাড়ছে।