ডোমেইন (Domain) একটি ইংরেজি শব্দ এর বাংলা অর্থ হলো স্থান বা ঠিকানা যা ইন্টারনেট জগতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মূলত, ডোমেইন নাম বলতে সাধারনভাবে কোন একটা ওয়েবসাইটের নামকে বোঝায়। প্রত্যেক ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) থাকে। যেমনঃ 106.22.159.180 সাধারণত আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট মনে রাখা কষ্টসাধ্য। তাই মনে রাখার সুবিধার জন্য আইপি অ্যাড্রেসের পরিবর্তে ডোমেইন নাম ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এক বা একাধিক কম্পিউটার কে ইন্টারনেট এ চেনার জন্যও ডোমেইন নাম ব্যবহার করা হয়।
ডোমেইন নেম সিলেক্ট করা:
১। সহজ নাম নির্বাচন করতে হবে যাতে সবাই সহজে মনে রাখতে পারে।
২। নাম সংক্ষিপ্ত রাখতে হবে যাতে দেখতে এবং শুনতে সুন্দর লাগে আর মনে রাখতে ও সহজ হবে।
৩। ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে নাম ঠিক করতে হবে যেমন, ইকমার্স ওয়েব সাইটের জন্য shop or store রিলেটেড নাম দিতে হব
৪। বড় কোন কোম্পানির নামের সাথে মিল রেখে নাম দেওয়া থেকে বিরত থাকুন এতে আপনার ওয়েবসাইট র্যঙ্ক হবে ন
৫। আপনার পছন্দের ডোমেইনটি খালি আছে কিনা তা ডোমেইন কেনার ওয়েব সাইটে সার্চ দিয়ে দেখে নিন
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখা:
১। যে কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনবেন তাদের সাথে ডোমেইনের প্রাইজ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলে নিন।
২। পরের বছরের রিনিউ চার্জের পরিমান জেনে নিবেন। অনেক প্রোভাইডার অফার দিয়ে অনেক কম মূল্যে বিক্রয় করে তবে রিনিউয়ের সময় সাধারন মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি চার্জ করে।
৩। ফুল কন্ট্রোল প্যানেল বুঝে নিবেন EPP কোড সহ যাতে পরে কোন সমস্যা হলে আপনি ডোমেইন ট্রাস্ফার করো অন্য প্রোভাইডারে যেতে পারেন এবং রিনিউ করতে পারেনে।
ডোমেইন ম্যানেজমেন্টের বিষয় গুলিঃ
প্রথম অবস্থায় ডোমেইনের কন্ট্রোল প্যানেল দেখলে আপানার মনে হতে পারে ডোমেইন ম্যানেজ করা অনেক কঠিন কিছু আসলে কিন্তু তা নয়। এটি অনেক সহজেই ম্যানেজ করতে পারবেন। কন্ট্রোল প্যানেলে অনেক কিছুই দেওয়া থাকে তার মধ্যে আপনাকে যে মূল ৫ টি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে তা আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি।
১। Contact Details : এই সেকশনে আপনি দেখতে পাবেন যে ডোমেইন টি কার নামে কেনা বা এটি রেজিস্টেশনে কোন ইমেইল ব্যবহার করা হয়েছে। যদি আপনাকে ফুল কোন্ট্রোল প্যনেল দেওয়া হয় আপনি চাইলে সব ডিটেইলস পরিবর্তন করতে পারবে
২। Privacy Protection: সম্ভব হলে এই প্রাইভেসি প্রোটেকশন এনাবেল করে রাখবে। এটি করার জন্য আপনাকে বছরে ২-৪ ডলার পে করা লাগতে পারে। এটি করার উদ্দেশ্যে হলো অনেক সময় Whois থেকে ডোমেইনের মালিকের ইমেইল এবং ফোন নাম্বার নিয়ে স্পামিং করা হয
৩। Name Server: ডোমেইন কেনার পর আপনার ডোমেনের কন্ট্রোল প্যানেলে আপনার হোস্টিং এর নেম সার্ভার বসিয়ে দিবেন যেটি আপনাকে আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার দিয়েছে। নেম সার্ভার দেখতে অনেকটা নিচের মত ns1.w3techniques.com ns2.w3techniaues.com
৪। Domain Secret: এটি হচ্ছে সবচেয়ে সেনসিটিভ একটা বিষয়। আপনার ডোমেইন প্যানেলে ডোমেন সিক্রেট অপশনে আপনি একটা কোড পাবেন যাকে EPP Code বলে। এই কোডের মাধ্যমে আপনি ডোমেইন যেকোন সময় অন্য প্রোভাইডারে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। যেমন Name Cheap ট্রান্সফার করে W3 Techniques এ নিয়ে আসব
৫। Theft Protection: ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন এর পর পরই থেফ্ট প্রোটেকশন অন করে রাখা উচিত এতে করে আপনার ডোমেইনের EPP Code অন্য কারো কাছে থাকলেও সে আপনার ডোমেইন ট্রান্সফার করে নিতে পারবে না।