১.১। পরীক্ষণের নাম: এ্যান্টি-ভাইরাস সফট্ওয়্যার ইন্সটল করা।
তত্ত্ব: এভাস্ট এ্যান্টি-ভাইরাস
সফট্ওয়্যার ইন্সটল করে কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
উপকরণ: ক) হার্ডওয়্যার: এক সেট
কম্পিউটার।
খ) সফটওয়্যার: Windows-10, এভাস্ট।
কার্যপ্রণালী
: এভাস্ট
এ্যান্টি-ভাইরাস সফট্ওয়্যার ইন্সটল করার জন্য নিম্নোক্ত ধাপসমূহ অনুসরণ করি-
১) প্রথমে
সফটওয়্যারটির সেটাপ ফাইলে ডাবল ক্লিক করতে হবে।
২)
সফটওয়্যারটির সেটাপ করার জন্য কম্পিউটারের এডমিন একসেস চাইবে, তখন Yes বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩) সেটাপ
উইজার্ডে Next বাটনে
ক্লিক করতে হবে।
৪)
ইন্সটলেশনের জন্য ভাষা নির্বাচন করে Ok
বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৫) এবারে Licenses Agreement রিভিউ করে Next
বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৬। এখন কোন
কোন কম্পোনেন্ট ইন্সটল করতে চাই, তা সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৭) এবারে
সফটওয়্যারটির ইন্সটলেশন লোকেশন পছন্দ করে Next
বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৮) সর্বশেষ Finish বাটনে ক্লিক করে এভাস্ট
এ্যান্টি-ভাইরাস সফট্ওয়্যার ইন্সটল সম্পন্ন করতে হবে।
ফলাফল: এভাস্ট এ্যান্টি-ভাইরাস
সফট্ওয়্যার ইন্সটল সম্পন্ন করে কম্পিউটার স্ক্যান করে কোন ভাইরাস আছে কিনা যাচাই
করে দেখেছি।
—
পরীক্ষণ নং
১.২: Web Password ও 2-Step Verification ব্যাবহার
তত্ত্ব : g-mail ব্যাবহার করে Web
Password ও 2-Step Verification দেখানো
হল।
প্রয়োজনীয়
উপকরণ : i) হার্ডওয়্যার: এক সেট কম্পিউটার,
ii)সফটওয়্যার
:Windows-10, Google Chrome
কার্যপ্রণালী
:
i) সহজ
পাসওয়ার্ড ব্যাবহার না করা-অনেকেই তাদের পাসওয়ার্ড হিসাবে নাম, কীবোর্ড এর সহজ বিন্যাস ব্যাবহার করে। যা সংগত নয়। ফলে Account
সহজে হ্যাক করা যায়। তাই জটিল বিন্যাস ব্যাবহার করা উচিত। এতে
অক্ষর, সংখ্যা ব্যাবহার করা যায়।
ii) নিয়মিত
পাসওয়ার্ড পরিবর্ত করা।
iii) যেসব
ক্ষেত্রে দিমুখী ভেরফিকেশনের ব্যবস্থা আছে তা ব্যাবহার করা। যেমন -মোবাইল ফনের
মাধ্যমে g-mail account টির নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করা
যায়। এ জন্য 2-Step Verification অপশনটি ব্যবহার করতে
হবে-
a) Profile থেকে Account Settings এ যেতে হবে।
b) 2-Step Verification অপশনে click করতে হবে।
c) Mobile Number টি দিতে হবে এবং send code বাটনে click করতে হবে।
d) Gmail থেকে Mobile এ একটি security code পাঠানো হবে। সেটি দিয়ে verify অপশনে ক্লিক
করতে হবে।
e)এরপর 2-Step
Verification টি অন করতে হবে।
ফলাফল: এভাবে 2-Step
Verification অন হয়ে যাবে এবং আমাদের Account টি সহজে কেও হ্যাক করতে পারবে না।
—
১.৩।
পরীক্ষণের নাম: কম্পিউটারে পাওয়ার অন করলে ডিসপ্লে আসার পর হ্যাং হয়ে গেলে এর
সমাধান।
তত্ত্ব: কম্পিউটারে পাওয়ার অন করলে
ডিসপ্লে আসার পর হঠাৎ হ্যাং হয়ে গেলে এর সমাধান করার জন্য একটি সিস্টেম ইউনিটের
বিভিন্ন অংশ চেক করি।
উপকরণ: ক) হার্ডওয়্যার: এক সেট
কম্পিউটার।
খ) সফটওয়্যার: Windows-10 ।
কার্যপ্রণালী:
১. প্রথম ধাপ
: কম্পিউটারের পাওয়ার অফ কর এবং কেসিংয়ের একপার্শ্বে খুলে হার্ডডিস্ক, সিডিরম কিংবা ডিভিডি এর সাথে
এবং এগুলো পর্যায়ক্রমে স্ব স্ব স্থানে যথাযথভাবে সংযোগ দিয়ে পুনরায় কম্পিউটার
চালূ করে দেখ।যদি সমস্যা থেকে যায় তাহলে —-
২. দ্বিতীয়
ধাপ : মাদারবোর্ড থেকে RAM,
Processor, Power Supply Connection প্রত্যেকটি আলাদাভাবে
পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোনো প্রকার ত্রুটি কিংবা ক্যাবল কানেকশনের সংপোগস্থলে লুজ
আছে কিনা?এরপরও যদি একই সমস্যা থাকে তাহলে
৩.তৃতীয় ধাপ
: মাদারবোর্ডটি অন্য একটি ভালো কম্পিউটারের সাথে লাগিয়ে চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখ
মাদারবোর্ডটি ঠিক আছে কিনা?যদি ঠিক না থাকে তাহলে মাদারবোর্ড বদলিয়ে ফেলতে হবে।কাজটি সার্ভিস
সেন্টার নিয়ে অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে করাতে হবে।
নোট : অনেক
সময় কেসিংয়ের পিছনে মাদারবোর্ডটির কীবোর্ড এবং মাউস পোর্টের সংযোগ লূজ থাকলে ও এ
ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে । সেক্ষেত্রে যথাযথভাবে সংযোগ দাও।
ফলাফল: কম্পিউটারে পাওয়ার অন করলে
ডিসপ্লে আসার পর হঠাৎ হ্যাং হয়ে গেলে এর সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কার্য
সম্পাদন করেছি।
—
২.১।
পরীক্ষণের নাম: ওয়ার্ড প্রসেসিং সফট্ওয়্যার চালু করে নতুন ডকুমেন্ট তৈরী, সেভ ও ক্লোজ করা।
তত্ত্ব: ওয়ার্ড প্রসেসিং সফট্ওয়্যার
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড চালু করে নতুন ডকুমেন্ট তৈরী, সেভ ও
ক্লোজ করে দেখানো।
উপকরণ: i) হার্ডওয়্যার: এক সেট
কম্পিউটার। ii) সফটওয়্যার: Windows-10, MS
Word-2019 ।
কার্যপ্রণালী: ওয়ার্ড ২০19 চালু করার পরে একটি উইনডো খূলবে ।এ উইনডোর উপরের বাম দিকের কোনায়
ফাইলে ক্লিক করলে যে অপশনগুলো পাওয়া যায় সেগুলো দেখানো হলো । ওয়ার্ড ২০19
অপশনগুলোর মধ্যে বেশি প্রয়োজনীয়গুলো হলো –
নিউ : নতুন
যকুমেন্ট খুলতে এটা ক্লিক করতে হয় ।
ওপেন : পূর্বে
সংরক্ষণ করা কোনো ডকুমেন্ট খুলতে এটা ক্লিক করতে হয়।
সেইভ:
ডকুমেন্টকে সংরক্ষণ করতে এখানে ক্লিক করতে হয়।
সেইভ এজ : একই
ডকুমেন্টকে ভিন্ন নামে সংরক্ষণ করতে এখানে ক্লিক করতে হয় ।এর মাধ্যমে কোনো
ডকুমেন্টকে অপরিবর্তীত রেখে নতুন নামে সংরক্ষণ করে তার উপর কাজ করা যায় ।
ক্লোজ : খোলা
ডকুমেন্ট বন্ধ করার জন্য এখানে ক্লিক করতে হয় ।
ফলাফল: মাইক্রোসফট ওয়ার্ড চালু
করে নতুন ডকুমেন্ট তৈরী, সেভ ও ক্লোজ করে দেখানো হলো।
—
পরীক্ষণ নং
-২.২: টেক্সট ফরম্যাটিং ও
কাট, কপি, পেস্ট।
তত্ত্ব:ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে
লেখালেখিকে সাজিয়ে উপস্থাপন করাকে টেক্সট ফরম্যাটিং বলে। MS Word-2019 ব্যাবহার করে তা করা
হল।
প্রয়োজণীয়
উপকরণ: i) হার্ডওয়্যার
: এক সেট কম্পিউটার , ii) সফটওয়্যার: Windows-10
, MS Word-2019
কার্যপ্রনালী:
i) কম্পিউটার
অন করে MS Word-2019 ওপেন করতে হবে।
ii) হোম
মেনুর Font, Paragraph, Style গ্রুপ এর মাধ্যমে Text
Formatting করা হয়।
iii) Font Group থেকে Font নির্বাচন করতে হবে। ফন্ট এর রঙ
নির্ধারণ করতে হবে।
iv) লেখালেখি
তে তালিকা করার সময় বুলেট ও নম্বর ব্যাবহার করা।
v) একটি
অংশ আগে select করতে হবে। ctrl+c চেপে কপি করতে হবে।আর কাট করতে চাইলে ctrl+x চাপতে
হবে। যেখানে paste করতে চাই সেখানে ctrl+x চাপলে ওই খানে paste হয়ে যাবে।
vi) মাউস
দিয়েও এই কাজ করা যায়। Left Button এ click করলে কাট, কপি, পেস্ট
এর অপশন আসবে।
ফলাফল : আমাদের লেখালেখিকে এইভাবে
আরও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারব। আর cut, copy, paste ব্যাবহার এর মাধ্যমে আমাদের সময় অপচয় কম হবে।
—
পরীক্ষণ নং
-২.3: ডকুমেন্টে টেবিল তৈরী
করা।
তত্ত্ব: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ৪ কলাম ও ১৫ রো দিয়ে একটি
টেবিল তৈরী করি।
উপকরণ: i) হার্ডওয়্যার : এক সেট
কম্পিউটার , ii) সফটওয়্যার: Windows-10 , MS
Word-2019
কার্যপ্রণালী
: আমরা বিভিন্ন কাজে মাইক্রোসফট
ওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি এবং এতে টেবিল তৈরি করে থাকি।
1.
প্রথমে Insert
ট্যাব এ গিয়ে Table কমান্ড অপশনে ক্লিক করি।
2.
ড্রপ ডাউন মেনু থেকে টেবিলের চিত্র দেখে নিজের মতো করে একটি টেবিল
তৈরি করতে পারি অথবা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের বিল্ট-ইন টেবিল ব্যবহার করতে পারি। এর জন্য Quick Tables এ ক্লিক করতে হবে।
এখানে বিভিন্ন ধরণের টেবিল রয়েছে। এখান থেকে নিয়ে কাজ করতে পারি।
3.
যদি বিল্ট-ইন টেবিল নিয়ে কাজ না করি তাহলে
মাউস দিয়ে নিজের মতো করে Columns ও Rows নিয়ে নিই। আর যদি ৪টি কলাম ও ১৫টি রো দিয়ে
টেবিল তৈরী করতে চাই তাহলে Insert Table অপশনে ক্লিক করতে হবে।
4.
Insert
Table থেকে আপনি সর্বোচ্চ ৬৩ কলাম ও
৩২,৭৬৭ রো এর টেবিল তৈরি করা যাবে। তবে
আমরা এখন ৪ কলাম ও ১৫ রো দিয়ে একটি টেবিল তৈরী করি।
5.
সর্বশেষ ওকে বাটনে ক্লিক করে একটি টেবিল
তৈরী করি।
ফলাফল: ৪ কলাম ও ১৫ রো দিয়ে একটি টেবিল তৈরী করা হলো।
—
পরীক্ষণ নং
-২.৪: ডকুমেন্টে ছবি ও ওয়ার্ডআর্ট
যুক্ত করা।
তত্ত্ব: মাইক্রোসফট
ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট
কোন ছবি ও নিজের ইচ্ছামতো লেখা দিয়ে ওয়ার্ড আর্ট যুক্ত করি।
উপকরণ: i) হার্ডওয়্যার : এক সেট
কম্পিউটার , ii) সফটওয়্যার: Windows-10 , MS
Word-2019
কার্যপ্রণালী
: ক) ছবি যোগ করা- ডকুমেন্টে ছবি যোগ করে ডকুমেন্টকে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। যেমন এ বইয়ে তোমরা লেখার পাশাপাশি অনেক ছবি দেখতে পাচ্ছো।এগুলো যোগ করার জন্যে যা করতে হবে-
1.
ওয়ার্ড ২০১৯-এর রিবনের ইনসার্ট ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।
2.
তারপরে ইলান্ট্রেশন গ্রুপে পিকচার আইকনে ক্লিক করতে হবে।
3.
এরপর একটা ডায়ালগ বক্স আসবে। সেখানে ছবির জায়গা নির্ধারণ করে ছবি যুক্ত হয়ে যাবে।
4.
এছাড়া ইলাস্ট্রেশন গ্রুপে ক্লিপআর্ট শেইপ (আকৃতি) স্মার্ট আর্ট চার্ট যোগ করার সুবিধা রয়েছে ।
খ) ওয়ার্ড আর্ট যোগ করা- ইনসার্ট ট্যাব থেকে ইচ্ছে করলে বিভিন্ন স্টাইলের লেখা যোগ করা
যায়। এজন্য যা করতে হবে-
5.
ইনসার্ট
ট্যাবের টেক্সট গ্রুপে ওয়ার্ড আর্ট–এ ক্লিক করে পছন্দেমতো স্টাইল নির্বাচন করতে হবে।
6.
তারপর
যে ডায়ালগ বক্স আসবে তাতে ফন্ট ঠিক করে নিই।
7.
প্রয়োজনীয় লেখা লিখে নিই।
8.
এবারে কাঙ্ক্ষিত স্টাইলে প্রদর্শন করবে ।
ফলাফল: নির্দিষ্ট কোন ছবি ও নিজের ইচ্ছামতো লেখা দিয়ে ওয়ার্ড আর্ট যুক্ত
করি।
—
পরীক্ষণ নং
-২.৫: ওয়ার্ড
প্রসেসিং-এ ডকুমেন্ট প্রিন্ট করা।
তত্ত্ব: মাইক্রোসফট
ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট
কোন ডকুমেন্ট প্রিন্ট করি।
উপকরণ: i) হার্ডওয়্যার : এক সেট
কম্পিউটার , ii) সফটওয়্যার: Windows-10 , MS
Word-2019
কার্যপ্রণালী
: কাজ শেষে ডকুমেন্টের লেখা
প্রিন্ট করতে হলে প্রিন্ট সাব মেন্যুর ব্যবহার হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রিন্ট
দিতে হলে কম্পিউটারে অবশ্যই প্রিন্টার সফটওয়্যার ইনস্টল থাকতে হবে এবং কম্পিউটারের
সাথে ডাটা কেবল দিয়ে প্রিন্টারটি সংযুক্ত থাকতে হবে, এরপর প্রিন্টারটি অন করুন। এরপর-
1.
File থেকে Print এ ক্লিক করি।
2.
একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এখান থেকে উপরে Printer Name বক্স থেকে যে প্রিন্টারে
প্রিন্ট করবেন তা সিলেক্ট করতে হবে।
3.
তারপর Page
Range থেকে
All নির্বাচন করুন যদি ডকুমেন্টের
সব পেজ প্রিন্ট করতে চাই, অথবা Current Page নির্বাচন করি যদি যে পেজে
কার্সর আসে সে পেজ প্রিন্ট করতে চাই,
অথবা Pages এ পেজ নম্বর দিই যেগুলো প্রিন্ট করতে চাই। এখানে যদি আমি 1-5 এই রকম দেই তাহলে ১
থেকে ৫ নং পেজ পর্যন্ত প্রিন্ট হবে।
4.
এরপর Copies বক্স থেকে যত কপি প্রিন্ট
চাই তা টাইপ করে দিই।
সবশেষে OK তে ক্লিক
করলে প্রিন্ট শুরু হবে।
ফলাফল: নির্দিষ্ট কোন ডকুমেন্ট প্রিন্ট করি।
—
পরীক্ষণ নং
-২.৬: স্প্রেডশিট সফট্ওয়্যার
চালু করে নতুন ওয়ার্কবুক তৈরী, সেভ ও ক্লোজ করা।
তত্ত্ব: মাইক্রোসফট
এক্সেল 2019 সফট্ওয়্যার চালু করে নতুন ওয়ার্কবুক তৈরী, সেভ ও ক্লোজ করা।
উপকরণ: i) হার্ডওয়্যার : এক সেট
কম্পিউটার , ii) সফটওয়্যার: Windows-10 , MS Excel-2019
কার্যপ্রণালী
:
মাইক্রোসফট এক্সেল দিয়ে অনেক ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ করা হয় বলে একে ডটাবেজ
অ্যাপলিকেশনও বলা হয়। এখন মাইক্রোসফট এক্সেল অ্যাপলিকেশনটি কিভাবে ওপেন করবো জেনে
নেই। আপনার কম্পিউটার থেকে Microsoft Excel নামক অ্যাপলিকেশনটিতে ক্লিক করি আর একটু সময় দিন ঠিক মতো লোড হওয়ার জন্য। পুরোপুরি লোড হওয়ার পরে
কম্পিউটার স্ক্রিনে সফটওয়্যারের উইন্ডোটি শো করবে। মাইক্রোসফট এক্সেলের সংরক্ষিত এক একটি ফাইলকেই ওয়ার্কবুক বলা হয়।
ক) সেভ
করার জন্য যা করতে হবে-
* Save(Ctrl+S): কাজ করার পড়ে যে কোনো প্রয়োজনীয় যে কোনো ফাইল কম্পিউটারে সেভ করতে হয়।
সেক্ষেত্রে কী বোর্ডের Ctrl+S চাপতে হবে বা ফাইল মেনু থেকে Save
এ ক্লিক করতে হবে।
* Save
As (F12): উপরে যে নিয়মে সেভ করা ফাইলটি অন্য নামে সেভ করার জন্য ফাইল মেনুতে গিয়ে Save
As অপশনে ক্লিক করতে হবে অথবা কী বোর্ড থেকে F12 কী চাপতে হবে।
খ) ক্লোজ
করার জন্য যা করতে হবে-
* Close
(Ctrl+W): এক্সেল শিটে কাজ করার পরে ফাইল ক্লোজ করতে
চাইলে ফাইল মেনু থেকে Close অপশনে ক্লিক করি বা Ctrl+W কী চাপি।
ফলাফল: মাইক্রোসফট এক্সেল 2019 সফট্ওয়্যারে নতুন ওয়ার্কবুক তৈরী, সেভ ও ক্লোজ করি।
২.৭। পরীক্ষণের
নাম: স্প্রেডশিট সফট্ওয়্যারে ফর্মূলা ব্যবহার করে
যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ করা।
তত্ত্ব: স্প্রেডশিট
সফট্ওয়্যার মাইক্রোসফট এক্সেল-এ ফর্মূলা ব্যবহার করে যোগ,
বিয়োগ, গুণ ও ভাগ করে উপস্থাপন করি।
উপকরণ: ক) হার্ডওয়্যার: এক সেট কম্পিউটার।
খ) সফটওয়্যার: Windows-10, মাইক্রোসফট অফিস-২০১৯।
কার্যপ্রণালী : মাইক্রোসফট এক্সেল-এ ফর্মূলা ব্যবহার করে যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ করার জন্য নিন্মোক্ত ধাপসমূহ অনুসরণ করি।
যোগ করা
এক্সেল দুইভাবে যোগ
করা যায়
: স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং ম্যানুয়ালি।উভয় ক্ষেত্রেই ফলাফলের সেলে সূত্র
প্রয়োগ করতে হয়।স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ করতে ফলাফল সেলে কারসর নিয়ে (AutoSum) ক্লিক করতে হয়।ম্যানুয়ালি যোগ করতে হলে ফলাফল সেলে ‘=’ চিহ্ন দিয়ে সূত্র লিখতে হয়।যেমন, = A1+B1
এছাড়া সূত্র দিয়ে
যোগ করা যায়।এখানে সেল রেঞ্জ দিয়ে কোন সেল থেকে কোন সেল পর্যন্ত যোগ করা হবে তা বুঝানো
হয়েছে।সেল রেঞ্জ লেখার নিয়ম হলো এভাবে।
বিয়োগ করা
এক্সেলের ওয়ার্কশিটে
বিয়োগ করার পদ্ধতিও যোগ করার পদ্ধতির মতো।তবে স্বয়ংক্রিয় বিয়োগ করার কোনো ব্যবস্থা
নেই।ফলাফল সেলে সূত্র বসিয়ে বিয়োগের কাজ করতে হয়। যেমন , =
A1-B1
গুণ করা
স্প্রেডশিটে গুণ
করার জন্য ফলাফল সেলের মধ্যে সূত্র দিতে হয় । সূত্র সব সময়= সমান চিহ্ন দিয়ে শুরু হয় । গুণ করার প্রক্রিয়া দু’ধরনের ।
১. সাধারণভাবে সেলে সূত্র লিখে এন্টার দিলে ফলাফল পাওয়া যায়।
২. ফলাফল সেলে স্প্রেডশিট ফাংশন =PRODUCT লিখে সেলের
রেঞ্জ য়ে এন্টার দিলে ।
ফাংশন ব্যবহার করে
গুণ করার সুবিধা হলো এখানে প্রয়োজন হলে অনেক বেশি সংখ্যক সেলের গুণফল রেঞ্জ দিয়ে সম্পন্ন
করা যায়।
ভাগ করা
স্প্রেডশিঠে ভাগ
করার কাজটিও সুত্র দিয়ে করতে হয়।ভাগ করার ক্ষেত্রে A1 সেলকে B1 সেল দিয়ে ভাগ করার জন্য
ফলাফল সেলে = A1/B1 সূত্র লিখতে হয়।এক্ষেত্রে
/চিহ্নটি ভাগ চিহ্ন হিসাবে ব্যবহৃত হয় ।
ফলাফল: স্প্রেডশিট সফট্ওয়্যারে ফর্মূলা ব্যবহার করে যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ করে দেখানো হলো।
---------------------------------------------------------
২.৮। পরীক্ষণের
নাম: স্প্রেডশিট সফট্ওয়্যারে ফর্মূলা ব্যবহার করে
শতকরা নির্ণয় করা।
তত্ত্ব: স্প্রেডশিট
সফট্ওয়্যার মাইক্রোসফট এক্সেল-এ ফর্মূলা ব্যবহার করে শতকরা
নির্ণয় করে উপস্থাপন করি।
উপকরণ: ক) হার্ডওয়্যার: এক সেট কম্পিউটার।
খ) সফটওয়্যার: Windows-10, মাইক্রোসফট অফিস-২০১৯।
কার্যপ্রণালী : মাইক্রোসফট এক্সেল-এ ফর্মূলা ব্যবহার করে শতকরা নির্ণয় করার
জন্য নিন্মোক্ত ধাপসমূহ অনুসরণ করি।
৪০০ টাকার ১৫% কত টাকা ? বাস্তব জীবনে আমরা এ ধরনের অনেক হিসাবের
মুখোমুখি হই ।স্প্রেডশিটের মাধ্যমে সহজেই আমরা এ হিসাবগুলো করতে পারি ।
স্প্রেডশিটের মাধ্যমে
প্রথম সমস্যাটি সমাধানের ক্ষেত্রে ফলাফল সেলে A3* B3% সূত্র প্রয়োগ করে
সমাধান করা যায় । সূত্রটি কীবোর্ড ব্যবহার করে ফলাফল সেলে লিখার নিয়ম হলো প্রথমে
=চিহ্ন দিয়ে ৪০০ লিখা সেলে ক্লিক করতে হবে।তারপর কবোর্ডে*চাপতে হবে।তারপর ১৫ লিখা সেলে ক্লিক করতে হবে।এরপর কীবোর্ডে থেকে
%(শিফট কী চেপে ৫) লিখে এন্টার করতে হবে।
পেয়ে পাবে তোমাদের ফলাফল।
ফলাফল: স্প্রেডশিট সফট্ওয়্যারে ফর্মূলা ব্যবহার করে শতকরা নির্ণয় করে
দেখানো হলো।
----------------------------------------------------------
৩.১। পরীক্ষণের নাম: প্রেজেন্টেশন সফট্ওয়্যার
চালু করে নতুন প্রেজেন্টেশন তৈরী, সেভ ও ক্লোজ করা।
তত্ত্ব: প্রেজেন্টেশন
সফট্ওয়্যার মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট-এ নতুন প্রেজেন্টেশন তৈরী,
সেভ ও ক্লোজ করে উপস্থাপন করি।
উপকরণ: ক) হার্ডওয়্যার: এক সেট কম্পিউটার।
খ) সফটওয়্যার: Windows-10, মাইক্রোসফট অফিস-২০১৯।
কার্যপ্রণালী : মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট-এ নতুন প্রেজেন্টেশন তৈরী, সেভ ও ক্লোজ করার
জন্য নিন্মোক্ত ধাপসমূহ অনুসরণ করি।
১. পর্দার নীচের দিকে বাম কোণে
start লেখা রয়েছে।
এটি হচ্ছে স্টার্ট বোতাম।
২. Start বোতামের উপর মাউস পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করলে একটি মেনু বা তালিকা আসবে
৩. এ মেনুর All
program কমান্ডের উপর মাউস
পয়েন্টার স্থাপন করলে একটি ফ্লাইআউট মেনু পাওয়া যাবে।
৪. এ ফ্লাইআউট মেনু তালিকা থেকে
মাইক্রোসফট office মেনুতে ক্লিক করলে পাশেই আরেকটি ফ্লাইআউট মেনুতে মাইক্রোসফট
office এর program গুলোর তালিকা পাওয়া যাবে।
৫. এ তালিকা থেকে Microsoft Office Powerpoint কমান্ড
সিলেক্ট করলে মাইক্রোসফট অফিস পাওয়ার পয়েন্ট-এর প্রথম স্লাইডের পর্দা উপস্থাপিত হবে।
এ পর্দার মূল অংশে-
-বক্সের মধ্যে
Click to add title এবং Click to add Subtitle লেখা থাকবে। লেখা দুটির উপর ক্লিক করলে টেক্সট বক্স দৃশ্যমান হবে এবং টেক্সট
বক্সের মধ্যে ইনসার্সন পয়েন্ট থাকবে।ইনসার্সন পয়েন্টার থাকা অবস্থায় শিরোনাম এবং উপশিরোনাম
টাইপ করা যাবে।কিছু টাইপ না করে বক্সের বাইরে ক্লিক করলে আবার ওই লেখাদুটি দৃশ্যমান
হবে।
- টেক্সট বক্সের বর্ডারে
ক্লিক করে সিলেক্ট করার পর ডিলিট বোতামে চাপ দিলে লেখাসহ টেক্সট বক্স বাতিল হয়ে যাবে।
- Home মেনুর রিবন থেকে
টেক্সট বক্স আইকা সিলেক্ট করে ইনসার্সন পয়েন্টার পর্দার ভিতরে নিয়ে এলে পয়েন্টারটি
টেক্সট পয়েন্টারের রুপ ধারন করবে।এ অবস্থায় উপর থেকে নিচের দিকে কোনাকুনি টেনে বক্স
তৈরী করতে হবে।
-বক্সের ভিতর ইনসার্সন পয়েন্টার
থাকবে।
-বাংলায় টাইপ করার জন্য
কীবোর্ডকে বাংলায় রুপান্তরিত করে নিতে হবে।
-টুলবার ও রিবন থেকে ফ্রন্ট,
ফন্টের আকার আকৃতি, রঙ ইত্যাদি সিলেক্ট করে
টাইপের কাজ করতে হবে।
-সুতম্বীএমজে ফ্রন্ট,
সাইজ ১৫০,রঙ নীল সিলেক্ট করে টাইপ করা হল
‘আমাদের দেশ’।
-টাইপ করার পর টেক্সট বক্সটি
সিলেক্টড থাকবে।সিলেক্টড টেক্সট বক্সের চার বাহুতে চারটি এবং চারকোনে চারটি ছোট গোলাকার
ফাঁপা সিলেকশন পয়েন্ট থাকবে। এসব সিলেকশন পয়েন্ট ড্র্যাগ করে বক্সের আকার ছোট বড় করা
যাবে। লেখা সংকুলানের জন্য বক্সটি পাশাপাশি বা উপর-নিচে ছোট
বড় করা যেতে পারে। বক্সের বাইরে ক্লিক করলে বক্সের সিলেকশন চলে যাবে।
-বক্সের যে কোন বাহুর যে
কোন স্থানে ক্লিক ও ড্র্যাগ করে বক্সটি পর্দার যে কোন অবস্থানে সরিয়ে স্থাপন করা যাবে।
-স্লাইড তৈরীর উইন্ডোর বাম
পাশে থাম্বনেইল ভিউয়ে স্লাইডের ছোট সংস্করণ দেখা যাবে।
প্রেজেন্টেশন সেভ
বা সংরক্ষন করা
-ফাইল মেনু থেকে
Save কমান্ড দিলে Save as ডায়ালগ বক্স আসবে।
-Save as ডায়ালগ বক্সের
ফাইল নেম টাইপ করতে হবে, ধরা যাক, My country.
-ডায়ালগ বক্সের
OK বোতামে ক্লিক করতে হবে।এতে প্রেজেন্টেশনটি My country নামে সংরক্ষন হয়ে যাবে।
-অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার
জন্য পরবর্তীতে My country নামের প্রেজেন্টেশন ফাইলটি খুলে
নিতে হবে।
-ফাইলে ক্লিক করে ক্লোজ-এ ক্লিক করলেই প্রোগ্রামটি
বন্ধ হয়ে যাবে।
ফলাফল: প্রেজেন্টেশন সফট্ওয়্যার-এ নতুন
প্রেজেন্টেশন তৈরী, সেভ ও ক্লোজ করে দেখানো হলো।