১ম অধ্যায়
জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ
১. যোগাযোগ প্রযু্িক্ত কী / তথ্য প্রযুক্তি কী?
উঃ ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কমিউনিকেশন টেকনোলজি বলা হয়। /যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্যের সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনীকিকরণ ও ব্যবস্থাপনা করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বা সংক্ষেপে আই টি বলে।
২. ইন্টারনেটকে বিশ্ব গ্রামের মেরুদন্ড বলা হয় কেন?
উঃ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করেও সহজে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারছে এবং বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করছে। এজন্যই ইন্টারনেটকে বিশ্ব গ্রামের মেরুদন্ড বলা হয়।
৩. তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বই বিশ্ব গ্রাম - ব্যাখ্যা কর ।
উঃ বিশ্ব গ্রাম এমন একটি পরিবেশ যেখানে মানুষ একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরকে সেবা প্রদান করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তৃত ব্যবহার তথা তথ্য আদান প্রদানের জন্য ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের সাথে সংযোগ ছাড়া বিশ্ব গ্রামের ধারনা অসম্ভব।
৪. বায়োমেট্রিক কী?
উঃ বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল বা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষের শরীরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুনাগুন, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়।
৫. শিক্ষা ক্ষেত্রে অনলাইন লাইব্রেরির ভূমিকা আলোচনা কর।
উঃ সনাতন পদ্ধতির বই সমুহকে ডিজিটাল রুপে (ই-বুক) আকারে যে ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করা হয় তাকে অনলাইন লাইব্রেরী বলে। এসব অনলাইন লাইব্রেরী থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনমত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং ভিডিও চিত্র দেখেও তাদের পাঠের বিষয়ে সহজে শিখতে পারে। যা বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
৬. ন্যানো টেকনোলজি কী ?
উঃ ন্যানো টেকনোলজি বা ন্যানো টেক হচ্ছে পদার্থকে আণবিক বা ছোট আকারে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ করার বিদ্যা। এই প্রযুক্তিতে ন্যানো স্কেলে একটি বস্তুকে নিপুনভাবে ব্যবহার করা যায় অর্থাৎ এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায়।
৭. প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে ড্রাইভিং / সাইক্লিং / সুটিং প্রশিক্ষণ সম্ভব - ব্যাখ্যা কর।
উঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে।
৮. বায়োমেট্রিক্স একটি আচরণীক বৈশিষ্ট্য নির্ভর প্রযুক্তি - ব্যাখ্যা কর।
উঃ বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল বা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষের শরীরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুনাগুন, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়। সংজ্ঞা থেকে দেখা যায় যে, বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি একান্তই মানুষের শরীরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য ও গুনাগুন কেন্দ্রিক। সুতরাং এটি হলো একটি আচরণীক নির্ভর পদ্ধতি।
৯. বায়োইনফারমেট্রিক্স এ ব্যবহৃত ডেটা কী? ব্যাখ্যা কর।
উঃ বায়োইনফরমেট্রিক্স হলো বিজ্ঞানের সেই শাখা যা বায়োলজিক্যাল ডেটা এনালাইসিস করার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তি, ইনফরমেশন থিওরি ও গাণিতিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে। সুতরাং বায়োইনফরমেট্রিক্স এ যে সব ডেটা ব্যবহৃত হয় তা হলো – ডি.এন.এ, জিন, এ্যামিনো এসিড ও নিউক্লিক এসিড।
১০. রোবটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উঃ মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাই হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আধুনিক রোবট সমুহে চিন্তা ও কারণ সমুহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে জটিল ধাঁধার সমাধানের কৌশলগুলো সংরক্ষণ করা থাকে। যার ফলে প্রতিকূল পরিবেশেও আধুনিক রোবট দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে।
১১. মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ও মানি অর্ডার এর মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক এবং কেন?
উঃ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ও মানি অর্ডার এর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বেশি সুবিধাজনক। নিচে ছকের মাধ্যমে তা উপস্থাপন করা হলো-
১২. টেলিকনফারেন্সিং কী?
উঃ কম্পিউটার ব্যবহার করে টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাহায্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মাঝে তথ্য আদান-প্রদান করাকে টেলিকনফারেন্সিং বলে।
১৩. ক্রায়োসার্জারি কী?
উঃ ক্রায়োসার্জারি হলো এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে নিম্ন তাপমাত্রায় অসুস্থ টিস্যুর জীবাণু ধ্বংস করা হয়।
ক্রায়োসার্জারি
১৪. আউটসোর্সিং কী?
উঃ কোন একটি কাজ নিজেরা না করে অর্থের বিনিময়ে দক্ষ কর্মী দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করিয়ে নেয়াকে আউটসোর্সিং বলে।
১৫. বিদেশী বন্ধুদের সাথে গেইম খেলার কৌশল ব্যাখ্যা কর।
উঃ ইন্টারনেট হলো ইন্টার কানেকটেড নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে একাধিক ইউজার বিশিষ্ট অনলাইন গেইম সংরক্ষিত থাকে যার সেটিংস এ্যাক্টিভেট করে বিদেশী বন্ধুদের সাথে গেইম খেলা য়ায়।
১৬. ব্লগ কী ?
উঃ ব্লগ হলো এক ধরনের ওয়েবসাইট যেখানে ব্যক্তি তার স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে পারে।
১৭. আই সি টি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলের জন্য উপার্জনের জন্য সহজ ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে - ব্যাখ্যা কর।
উঃ আই সি টি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সহজেই আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে। আউটসোর্সিং হলো কোন একটি কাজ নিজেরা না করে অর্থের বিনিময়ে দক্ষ কর্মী দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করিয়ে নেয়া এবং এর বিনিময় দেশে ও দেশের বাইরে থেকে অর্থ উপার্জন করা।
১৮. আটিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্ট কী?
উঃ মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাই হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
১৯. নিম্ন তাপ মাত্রায় অসুস্থ্য টিস্যুর জীবাণু কিভাবে ধ্বংস করা যায় - ব্যাখ্যা কর।
উঃ নিম্ন তাপমাত্রায় অসুস্থ টিস্যুর জীবাণু ধ্বংস করাকে ক্রায়োসার্জারি বলে। এই পদ্ধতিতে -৪১օসেঃ তাপমাত্রায় ত্বকের অসুস্থ কোষকে ধ্বংস করে রক্ত সঞ্চালন ঠিক করা হয়।
২০. পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে ?
উঃ পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে। পাটের জিনের উপাদান সমুহ বিশ্লেষণ, জিনের মাত্রা, জিনের ক্রোমোজম নির্ধারণ করে উন্নত জাতের পাট উৎপাদন করা হচ্ছে।
২১. হ্যাকিং কী ?
উঃ হ্যাকিং হচ্ছে অনধিকার প্রবেশ এবং অনৈতিক কর্মকান্ড বা অন্যের কম্পিউটারে বা ওয়েবসাইটে ঢুকে তথ্যের ক্ষতি সাধন করা।
২২. নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন হিসেবে অপটিক্যাল ফাইবার সুবিধাজনক কেন? ব্যাখ্যা কর।
উঃ অপটিক্যাল ফাইবার হলো কাচের তন্তুর তৈরি এক প্রকার ক্যাবল যা আলোক-রশ্মি পরিবাহী। এর মধ্যদিয়ে আলোর গতিতে ডেটা স্থানন্তরিত হয়। এর ব্যান্ড উইডথ উচ্চ এবং এটি বৈদ্যূতিক ও চৌম্বক প্রবাহ হতে মুক্ত যার ফলে এটি দ্বারা ডেটা ট্রান্সফার নিরাপদ ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে ডেটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম। তাই অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন হিসেবে কাজ করে।
২৩. ইন্টারনেট কী ?
উঃ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ককে ইন্টারনেট বলে।
২৪. ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী ?
উঃ প্রকৃত পক্ষে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা জন্মানো বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। ভার্চূয়াল রিয়েলিটি হলো সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ যা ব্যবহারকারীকে বাস্তব জগৎ হিসেবে চিন্তা করতে সাহায্য করে।
২৫. অডিও এবং ভিডিও তথ্য আদান-প্রদানে কোনটিতে ডেটা স্পিড বেশি লাগে ? ব্যাখ্যা কর।
উঃ অডিওতে শুধু সাউন্ড থাকায় ডেটার পরিধি কম থাকে কিন্তু অডিও-ভিডিওতে সাউন্ড ও গ্রাফিক্স থাকায় ডেটার পরিধি বেশি হয় ফলে ব্যান্ডউইডথ বেশি লাগে।
----------------------------------------
২য় অধ্যায়
জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ঃ
১) আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন কী?
উঃ আইসোক্রোনাস ্ট্রান্সমিশনকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের উন্নত ভার্সন বলা হয়। পর পর দু’টি ব্লকের ডেটা ট্রান্সফারের মধ্যবর্তী সময় প্রায় ০ একক এ ট্্রান্সমিশন করার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত রিয়েলটাইম এ্যপ্লিকেশনের ডেটা ট্্রান্সফারে এ পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয়।
২) সিনক্রোনাইজেশন বলতে কী বুঝ ?
উঃ এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশন হওয়ার সময় অবশ্যই দু’টি কম্পিউটারের মধ্যে এমন একটি সমঝোতা থাকা দরকার যাতে প্রতিটি সিগন্যাল, বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে পারে। কেননা বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে না পারলে গ্রহীতা কম্পিউটার সেই সিগন্যাল থেকে ডেটা পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। এই সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় বিট সিনক্রোনাইজেশন।
৩) ডেটা কমিউনিকেশন কী?
উঃ কোন ডেটাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে অথবা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে ডেটা কমিউনিকেশন বলে।
৪) ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদানগুলো লেখ।
উঃ ডেটা কমিউনিকেশন প্রক্রিয়ার মূলত ৫টি উপাদান রয়েছে। এগুলো হলো- ১. উৎস ২. প্রেরক ৩. মাধ্যম ৪. গ্রাহক ৫. গন্তব্য।
৫) ডেটা প্যাকেট কী?
উঃ সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিশন হয়। এই ব্লক কে ডেটা প্যাকেট বলে।
৬) অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের মধ্যে পার্থক্য সমুহ লিখ।
উঃ পাঠ্য বই নির্দেশক।
৭) হটস্পট বলতে কী বোঝ?
উঃ হটস্পট হলো এক ধরনের ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন ডিভাইসে (কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাব ইত্যাদি) ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ করে। হটস্পট গুলো হলো যেমন- ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই, ওয়াই-ম্যাক্স ইত্যাদি।
৮) ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী?
উঃ ডেটা কমিউনিকেশনের সময় ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলে।
৯) ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কত প্রকার ও কী কী?
উঃ ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ৩ প্রকার। যথা - ১. সিমপ্লেক্স ২. হাফ-ডুপ্লেক্স ৩. ফুল-ডুপ্লেক্স।
১০) নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রধানত কত ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করা হয় ও কী কী?
উঃ নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রধানত ২ ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করা হয়। যেমন - ১.ওয়্যার ( ক্যাবল ) মাধ্যম এবং ২. ওয়্যারলেস মাধ্যম।
১১) নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে কী কী ক্যাবল ও কোন কোন ওয়্যারলেস মাধ্যম ব্যবহার করা হয়?
উঃ নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কেবল গুলো হলো- ১. কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ২. টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ৩. ফাইবার অপটিকস ক্যাবল ইত্যাদি। এবং ওয়্যারলেস মাধ্যম গুলো হলো - ১. বেতার তরঙ্গ ( রেডিও ওয়েভ) ২. মাইক্রোওয়েভ ৩. ভ’-উপগ্রহ ব্যবস্থা ৪. ইনফ্লারেড ইত্যাদি।
১২) টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ও কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
১৩) ক্লাউড কম্পিউটিং কী?
উঃ ক্লাউড কম্পিউটিং হলো সাবক্রিপশন ভিত্তিক সর্ভিস, যা নেটওয়ার্ক স্টোরেজ স্পেস এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এর দ্রুত ও সুবিধাজনক ব্যবহার নিশ্চিত করে।
১৪) ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড কী?
উঃ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অথবা- এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সফারের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড বলে।
১৫) bps কী?
উঃ ট্রান্সমিশন স্পিডকে অনেক সময় ব্যান্ডউইথ বলা হয়। ব্যান্ডউইথ সাধারনত bps এ হিসাব করা হয়, একে ব্যান্ড স্পিড ও বলে। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান বিট ট্রান্সমিট করা হয় তাকে bps বা ব্যান্ডউইথ বলে।
১৬) অপটিক্যাল ফাইবারের ফাইবার কী কী উপাদান দিয়ে তৈরি?
উঃ অপটিক্যাল ফাইবার তৈরির উপাদানগুলো হলো - অন্তরক পদার্থ হিসেবে সিলিকা, মাল্টি কম্পোনেন্ট হিসেবে কাচ, সোডা বোরো সিলিকেট, সোডা লাইম সিলিকেট, সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট এবং ফাইবার ক্লাডিং হিসেবে প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
১৭) অপটিক্যাল ফাইবারের অংশ গুলো কী কী?
উঃ অপটিক্যাল ফাইবারে ৩টি অংশ থাকে। ১. কোরঃ- একদম ভিতরে ডাই-ইলেকট্রনিক কোর থাকে যার ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোন হয়ে থাকে। ২. ক্লাডিংঃ- অপটিক্যাল ফাইবারের কেন্দ্রকে একধরনের পদার্থ দিয়ে ঢেকে রাখা হয় যা আলোক প্রতিফলন করতে পারে একে ক্লাডিং বা কেভলার বলে। ৩. জ্যাকেটঃ- অপটিক্যাল ফাইবারের বাইরের অংশ যা প্লাস্টিক আবরণ দ্বারা আবৃত।
১৮) বেতার তরঙ্গ কী?
উঃ ১০ কিলোহার্টজ থেকে ১ গিগাহার্টজ পর্যন্ত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্প্রেকট্রামকে বলা হয় রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি বা বেতার তরঙ্গ।
১৯) ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ হিসেবে মাইক্রোওয়েভের প্রকারভেদ উল্লেখ কর।
উঃ ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ হিসেবে মাইক্রোওয়েভ ৩ ধরনের হয়ে থাকে - ১. আলট্রা হাই ফ্রিকুয়েন্সি : এর সীমা ০.৩ থেকে ৩ গিগাহার্টজ। ২. সুপার হাই ফ্রিকুয়েন্সি : এর সীমা ৩ থেকে ৩০ গিগাহার্টজ। ৩. এক্সট্রিমলি হাই ফ্রিকুয়েন্সি : এর সীমা ৩০ থেকে ৩০০ গিগাহার্টজ হয়।
২০) ইনফ্রারেড কী? এর অসুবিধা কী?
উঃ ইনফ্রারেড হলো এক ধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ যার ফ্রিকুয়েন্সি সীমা টেরাহার্টজ হয়ে থাকে। এই প্রযুক্তিতে সিগন্যাল ট্রান্সমিটের জন্য ইনফ্রারেড মানের আলো ব্যবহার করা হয়। এর অসুবিধা হলো এটি ঘরের দেয়াল বা অন্যান্য বস্তু ভেদ করে যেতে পারে না এবং শক্তিশালী আলোর সংস্পর্শে এলে এর অস্তিত্ব লোপ পায়।
২১) মোবাইল ফোন কী? এর জনক কে?
উঃ ইংরেজি MOVE শব্দ হতে মোবাইল শব্দটি এসেছে। যার অর্থ হচ্ছে নড়াচড়া করা বা চলমান। তাই তারহীন যে সব ফোন ব্যবহার করা হয় তাকে মোবাইলফোন বলে। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি নামক একটি মোবাইল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মার্টিন কুপার এর জনক।
২২) রোমিং বলতে কী বুঝ?
উঃ গ্রাহকদের সুবিধা প্রদানের জন্য সার্ভিস প্রোভাইডারদের নিজেদের মাঝে আন্তঃসংযোগ চালু রাখার প্রক্রিয়াকে রোমিং বলে। এর ফলে এক সাভিস প্রোভাইডারের গ্রাহক অন্য সার্ভিস প্রোভাইডারের এলাকায় গিয়েও ফোন ব্যবহার করতে পারে।
২৩) রাউটার কী?
উঃ রাউটার হলো একটি বুদ্ধিমান ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ডিভাইস যা উৎস কম্পিউটার থেকে গন্তব্য কম্পিউটারে ডেটা প্যাকেট পৌছে দেয়।
২৪) ব্লু-টুথ কী?
উঃ স্বল্প দূরত্বে (১০ থেকে ১০০ মিটার) ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত একটি ওপেন ওয়্যারলেস প্রটোকল হচ্ছে ব্লু-টুথ। এটি PAN(Personal Area Network) ওয়্যারলেস ভিত্তিক নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত।
২৫) হাইব্রিড নেটওয়ার্ক কী?
উঃ সেন্ট্রালাইজড নেটওয়ার্ক ও ডিসট্রিবিউটেড নেটওয়ার্কেও সংমিশ্রনে গঠিত নেটওয়ার্ককে হাইব্রিড নেটওয়ার্ক বলে।
২৬) ভৌগোলিক বিস্তৃতি অনুসারে নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কী কী?
উঃ ভৌগোলিক বিস্তৃতি অনুসারে নেটওয়ার্ক ৪ প্রকার। যথা – ১. প্যান (PAN) ২. ল্যান (LAN) ৩. ম্যান (MAN) ৪. ওয়ান (WAN)
২৭) নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড কী ?
উঃ কম্পিউটারকে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করতে যে ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করা হয় তাকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বলে।
২৮) মডেমের কাজ কী ?
উঃ মডেম একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য পৌছে দেয়। মডুলেটর ও ডি-মডুলেটর এই শব্দ দু’টি দ্বারা মডেম শব্দটি তৈরি। ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রুপান্তর করাকে মডুলেটর এবং অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রুপান্তর করাকে ডি-মডুলেটর বলে।
২৯) নেটওয়ার্ক সুইচ কী ?
উঃ দুইয়ের অধিক পোর্টযুক্ত রিপিটারকে সুইচ বলে। সুইচ কলিশন ডোমেইনকে সীমিত করে দেয়, একাধিক সেগমেন্ট এর মাঝে ব্রিজিং এর কাজ করে, ব্রডকাস্ট ডোমেইনকে সীমিত করার জন্য ভার্চুয়াল ল্যান ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩০) হাব ও সুইচ এর মধ্যে পার্থক্য গুলো কী কী?
৩১) কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কী ?
উঃ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে বোঝায়। এ ক্ষেত্রে একাধিক কম্পিউটার তাদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে ও হার্ডওয়্যার শেয়ার করতে পারে।
--------------------------------
৩য় অধ্যায়
জ্ঞানমূলক প্রশ্নঃ
১. সংখ্যা পদ্ধতি কী?
উঃ যো পদ্ধতির সাহায্যে কোন সংখ্যা গণনা করা, লেখা বা প্রকাশ করা হয় তাকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
২. দশমিক সংখ্যাকে বাইনারী সংখ্যায় রুপান্তরের নিয়মাবলী লিখ।
উঃ দশমিক সংখ্যাকে বাইনারী সংখ্যায় রুপান্তরের নিয়মাবলী নিম্নরুপ -
(ক) পূর্ণাংশের ক্ষেত্রে -
১) বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ২ দ্বারা দশমিক সংখ্যাটিকে ভাগ করতে হবে এবং অবশিষ্ট্যকে সংরক্ষণ করতে হবে।
২) প্রাপ্ত ভাগফলকে আবার বেজ ২ দ্বারা ভাগ করতে হবে এবং অবশিষ্ট্যকে সংরক্ষণ করতে হবে।
৩) এভাবে যতক্ষন না ভাজ্য ০ হয় ততক্ষন এ প্রক্রিয়া চালাতে হবে।
৪) সংরক্ষিত প্রাপ্ত ভাগশেষকে শেষ থেকে শুরুর দিকে সাজিয়ে লিখতে হবে।
(খ) ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে -
১) বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ২ দ্বারা দশমিক সংখ্যাটিকে গুন করতে হবে এবং যদি পূর্ণাংশ না হয় তবে পূর্ণাংশের ঘরে ০ সংরক্ষণ করতে হবে।
২) উপরের ধাপে প্রাপ্ত গুনফলের ভগ্নাংশকে আবার বেজ ২ দ্বারা গুন করতে হবে এবং গুনফলের পূর্ণাংশকে সংরক্ষণ করতে হবে।
৩) এভাবে যতক্ষন না ভগ্নাংশ ০ হয় ততক্ষন এ প্রক্রিয়া চালাতে হবে।
৪) র্যাডিক্স পয়েন্ট এর পরে সংরক্ষিত পূর্ণাংশকে শুরু থেকে শেষ দিকে সাজিয়ে লিখতে হবে।
৩. বিট কী?
উঃ বাইনারী ডিজিট ০ এবং ১ কে সংক্ষেপে বিট বলে।
৪. বিট ও বাইটের মধ্যে পার্থক্য কী?
৫. পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে একটি মান বের করতে কী কী ডেটা দরকার?
উঃ পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে কোন সংখ্যার মান নির্ণয়ে ৩টি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ-
ক. সংখ্যাটিতে ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর নিজস্ব মান।
খ. সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি।
গ. সংখ্যাটিতে ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর অবস্থান বা স্থানীয়মান।
৬. ASCII-এর পূর্ণনাম কী?
উঃ ASCII-এর পূর্ণনাম হলো American Standard Code for Information Interchange.
৭. বেজ কী?
উঃ বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক সমুহের সমষ্টিকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি বলে। যেমন- ডেসিমেলের বেজ ১০, বাইনারীর ২, অক্টালের ৮ এবং হেক্সাডেসিমেলের ১৬।
৮. কোড কী?
উঃ কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত প্রতিটি বর্ণ, সংখ্যা বা বিশেষ চিহ্নকে আলাদাভাবে সিপিইউকে বোঝানোর জন্য বিটের (০ বা ১) মাধ্যমে বিভিন্ন বিন্যাসের সাহায্যে অদ্বিতীয় সংকেত তৈরি করাকেই কোড বলে।
৯. বর্তমানে ১এর পরিপুরক কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয় না কেন?
উঃ আধুনিক কম্পিউটারে ১এর পরিপুরক ব্যবহৃত হয় না কেননা, ১ এর পরিপুরকে বাইনারী +০ ও -০ ব্যবহৃত হয়। যা বাস্তবে অসম্ভব।
১০. স্থানীয় মান কী ?
উঃ ডেসিম্যাল সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রতিটি অঙ্ককে ডান থেকে বামে একক, দশক, শতক, সহ¯্র এভাবে নামকরণ করা হয়। এই প্রতিটি নামকেই ঐ অঙ্কের স্থানীয় মান বলে।
১১. ডেসিম্যাল পয়েন্টকে বাইনারীতে কী বলে?
উঃ ডেসিম্যাল পয়েন্ট বা দশমিক বিন্দুকে বাইনারীত রেডিক্স পয়েন্ট বলে।
১২. মৌলিক গেইট কী?
উঃ যে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিট বা বর্তনী ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের যৌগিক গেইট তৈরি করা যায়, তাকে মৌলিক গেইট বলে।
১৩. Adder এর বর্ণনা দাও।
উঃ যে সমবায় সার্কিট দ্বারা যোগ করা যায় তাকে অ্যাডার বলে। কম্পিউটারে যাবতীয় গাণিতিক কাজ বাইনারী যোগের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। তাই বাইনারীর যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে দুই ধরনের অ্যাডার রয়েছে। যথা -
(১) হাফ-অ্যাডারঃ যে অ্যাডার দু’টি বিট যোগ করে যোগফল ও ক্যারি বের করতে পারে তাকে হাফ-অ্যাডার বলে। একটি এক্স-অর ও একটি অ্যান্ড গেটের সাহায্যে হাফ-অ্যাডার সার্কিট তৈরি করা যায় ।
(২) ফুল-অ্যাডারঃ যে অ্যাডার দু’টি বিটসহ পূর্বের ক্যারি বিট যোগ করতে পারে তাকে ফুল-অ্যাডার বলে। দু’টি হাফ-অ্যাডার দিয়ে একটি ফুল-অ্যাডার এর কাজ করা যায়।
১৪. ১-এর পূরক কী?
উঃ বাইনারী সংখ্যার ১ এর স্থলে ০ ও ০ এর স্থলে ১ দ্বারা প্রতিস্থাপন করে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে ঐ সংখ্যার ১-এর পূরক বা পরিপূরক।
১৫. EBCDIC বলতে কী বোঝ?
উঃ Extended Binary Coded Decimal Information Code কে সংক্ষেপে বলা হয় EBCDIC কোড। আইবিএম কোম্পানী কর্তৃক উদ্ভাবিত ৮ বিটের আলফা নিউমেরিক কোড। এ কোড দ্বারা ২⋀৮ বা ২৫৬ টি অদ্বিতীয় অঙ্ক, অক্ষর এবং চিহ্ন প্রকাশ করা যায়। এতে ০ - ৯ পর্যন্ত সংখ্যার জন্য ১১১১, অ থেকে ত পর্যন্ত সংখ্যার জন্য ১১০০, ১১০১, ১১১০ এবং বিশেষ চিহ্নের জন্য ০১০০, ০১০১, ০১১০, ০১১১ জোন বিট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
১৬. এনকোডার ও ডিকোডার কী?
উঃ এনকোডারঃ যে সমবায় বর্তনীর সাহায্যে সর্বাধিক ২হ টি ইনপুট থেকে হ টি আউটপুট লাইনে ০ বা ১ আউটপুট পাওয়া যায় তাকে এনকোডার বলে।
ডিকোডারঃ যে সমবায় বর্তনীর সাহায্যে সর্বাধিক হ টি ইনপুট থেকে ২হ টি আউটপুট লাইন পাওয়া যায় এবং যে কোন একটি আউটপুট লাইনের মান ১ হয় এবং বাকী সবকটি আউটপুট লাইনের মান ০ হয় তাকে ডিকোডার বলে।
১৭. চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বলতে কী বোঝ?
উঃ বাইনারী পদ্ধতিতে সাইন বা চিহ্ন বোঝানোর জন্য সাধারণত একটি অতিরিক্ত বিট ব্যবহার করা হয়। একে চিহ্ন বিট বলে। এই চিহ্ন বিট ০ হলে ধনাত্নক এবং ১ হলে সংখ্যাটিকে ঋণাত্নক ধরা হয়। নিম্নে ১ বাইট বা ৮ বিটের একটি রেজিষ্টারের ক্ষেত্রে উদাহরণ দেখানো হলো-
১৮. বুলিয়ান চলক কী ?
উঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যার মান সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাকে বুলিয়ান চলক বলে। যেমন- x = A+B এখানে A এবং B হচ্ছে বুলিয়ান চলক।
১৯. সত্যক সারণী কী ?
উঃ ফাংশনের ইনপুট ও আউটপুটকে যখন একটি টেবিলের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তখন ঐ টেবিলকে সত্যক সারণী বলে।
২০. রেজিষ্টার কী? অ্যাকুমুলেট রেজিষ্টার বলতে কী বোঝায়?
উঃ রেজিষ্টার হলো এক ধরনের ফ্লিপ-ফ্লপ এর সমন্বয়ে গঠিত এক প্রকার মেমোরি ডিভাইস যা কতগুলো বিটকে ধারন করতে পারে।
কোন কোন প্রসেসর একটি রেজিষ্টারকে অন্য সকল রেজিষ্টার থেকে আলাদা করে থাকে তাকে অ্যাকুমুলেটর রেজিষ্টার।
২১. কাউন্টার কী ? এর ব্যবহার লেখ।
উঃ কাউন্টার হলো এমন একটি সিকুয়েন্সিয়্যাল সার্কিট দ্বারা গঠিত রেজিষ্টার যাতে প্রদানকৃত ইনপুট পালসের সংখ্যা গুনতে পারে।
এর ব্যবহার নিম্নরুপ -
১) ক্লক পালসের সংখ্যা গণনার কাজ করে।
২) বিভিন্ন টাইমিং সিগন্যাল প্রদানের কাজ করে।
৩) ডিজিটাল ঘড়িতে ব্যবহৃত হয়।
৪) কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়।
৫) অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রুপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।
৬) ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সএর বিভিন্ন অপারেশন কন্ট্রোল করতে ব্যবহৃত হয়।
২২. রিপল আপ কাউন্টার কী?
উঃ যে কাউন্টার ছোট থেকে বড় নম্বরের দিকে পর্যায়ক্রমে গণনা করে তাকে রিপল আপ কাউন্টার বলে।
----------------------
৪র্থ অধ্যায়
HTML ট্যাগের নাম ও ব্যবহার -
১। HTML এ কমেন্টস লেখার সিনট্যাক্স কী?
উঃ HTML এ কমেন্টস লেখার সিনট্যাক্স হলো <!--......--> ।
২। ওয়েব পেইজ বলতে কী বুঝায়?
উঃ ওয়েব পেইজ বলতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের উপযোগী করে কোন তথ্য সার্ভারে সংরক্ষন করে রাখা ফাইলকে বুঝায়।
৩। ওয়েব পেইজ তথ্যের এক ধারক- বিশ্লেষণ কর।
উঃ ইন্টারনেট এক বিশাল তথ্য ভান্ডার। বিভিন্ন তথ্য ও ডেটা ওয়েব পেইজ এ থাকে এবং ওয়েব পেইজ সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। একাধিক ওয়েব পেইজ এর সমন্বয়ে একটি ওয়েবসাইট গঠিত হয়। এ ধরনের অসংখ্য ওয়েবসাইট সার্ভারে রক্ষিত থাকে। এখান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে খুজে পেতে পারে। তাই বলা যায় যে, ওয়েব পেইজ তথ্যের এক ধারক।
৪। URL কী? এর বিভিন্ন অংশগুলো উপস্থাপন কর।
উঃ ওয়েব পেইজ এর অ্যাড্রেসকে URL (Uniform Resource Locator) বলে। URL হলো ওয়েবসাইটের ঠিকানা। এর বিভিন্ন অংশগুলো নিম্নরুপ -
Sub-domain domain name ↧top level domain
Protocol file path
৫। http এর কাজ লেখ।
উঃ http এর কাজ হলো -
ক) সার্ভারের সাথে ব্রাউজারের সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা।
খ) ব্রাউজারের যে কোন অনুরোধ সার্ভারে পৌছে দেওয়া।
গ) অনুরোধক্রমে ওয়েব পেইজকে সার্ভার থেকে ব্রাউজারে নিয়ে আসা।
ঘ) ব্রাউজার ও সার্ভারের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।
৬। ওয়েব পেইজ স্ট্রাকচার আলোচনা কর।
উঃ ওয়েব পেইজ স্ট্রাকচারের মধ্যে কয়েকটি স্ট্রাকচার আলোচনা করা হলো-
১) হায়ারারকিক্যাল - যে ওয়েব পেইজ স্ট্র্রাকচার প্রতিটি বিষয়কে মেইন পেইজ থেকে সাব পেইজ এবং সাব পেইজ থেকে বিশদ বর্ণনা পেইজ এ নিয়ে যায় তাকে হায়ারারকিক্যাল ওয়েব স্ট্রাকচার বলে।
২) লিনিয়ার - যে ওয়েব পেইজ স্ট্রাকচার প্রতিটি পেইজকে অনুক্রমিক ভাবে উপস্থাপন করে তাকে লিনিয়ার স্ট্রাকচার বলে। এধরনের স্ট্রাকচারে next, previous, back, top, last ইত্যাদি লিংক বিভিন্ন পেইজ এ যাতায়াত এর জন্য ব্যবহার করা হয়।
৭। ডোমেইন নেম কী? এর বিভিন্ন অংশগুলো আলোচনা কর।
উঃ প্রতিটি ওয়েব সাইটের একটি করে নির্ধারিত IP Address থাকে। IP Address এর আক্ষরিক বর্ণনাকে ডোমেইন নেম বলে। এটি ঐ ওয়েবসাইটের নিজস্ব নাম যা অন্য কোন সাইটের নামের সাথে কখনোই মিলবে না। ডোমেইন নেম এর বিভিন্ন অংশগুলো নিম্নরুপ-
৮। ডোমেইন নেম কিনতে হয় কেন?
উঃ প্রতিটি ডোমেইন নেমকে ডিএনএস এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা হয় যা একটি ইউনিক আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে চিহ্নিত করে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের স্বতন্ত্র তৈরির জন্য ডোমেইন নেম কিনতে হয়।
৯। এলিমেন্ট ও কন্টেন্ট কী?
উঃ এইচটিএমএল এর শুর ও শেষ ট্যাগের ব্যবহৃত বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে এলিমেন্ট বলে।
<p > </p >
এবং শুরু ও শেষ ট্যাগের মাঝে যা লেখা হয় তাকে কন্টেন্ট বলে।<p > বাংলাদেশ </p>
১০। অ্যাট্রিবিউট কী? অ্যাট্রিবিউট লেখার নিয়ম লিখ।
উঃ HTML এর এলিমেন্ট এর অতিরিক্ত তথ্য প্রকাশ করার জন্য যে বর্ণ সমষ্টি শুরুর ট্যাগে ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যাট্রিবিউট বলে। যেমন- <img src= “logo.jpg ”/>
name value
Tag Attribute
অ্যাট্রিবিউট লেখার সময় প্রথমে অ্যাট্রিবিউট নেম লিখে = চিহ্ন দিয়ে এর পর উদ্ধিৃতি “ ” কমার মাঝে ভ্যালু লিখতে হয়।
--------------------------
পঞ্চম অধ্যায়
জ্ঞানমূলক প্রশ্নঃ
১) প্রোগ্রামিং ভাষা কী?
উঃ কোন নিদিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারে যে বোধগম্য ভাষায় নিদেশ প্রদান করা হয় তাকে প্রোগ্রামিং ভাষা বলে।
২) যান্ত্রিক ভাষা কী?
উঃ যান্ত্রিক ভাষার সহজ অথ হচ্ছে যন্ত্রের নিজস্ব ভাষা। কম্পিউটার সরাসরি যে ভাষা বুঝতে পারে সেই ভাষাই হচ্ছে কম্পিউটারের যান্ত্রিক ভাষা।
৩) অ্যাসেম্বলি ভাষা কী?
উঃ মেশিন ভাষার প্রতিটি নিদেশের বাইনারি সংখ্যাকে একটি বিশেষ শব্দ বা নাম দিয়ে প্রকাশ করাকে অ্যাসেম্বলি ভাষা বলে।
৪) উচ্চস্তরের ভাষা কী?
উঃ উচ্চস্তরের ভাষায় আমাদের পরিচিত বাক্য, বণ ও সংখ্যা ব্যবহার করে প্রোগ্রাম রচনা করা হয়। এ ভাষায় ব্যবহৃত বেশির ভাগ শব্দ ইংরেজি ভাষার সাথে মিল আছে।
৫) জাভা কী?
উঃ জাভা একটি নেটওয়াক প্রোগ্রামিং ভাষা। এর বহনযোগ্যতা, নিরাপত্তা, ওওপি এবং ওয়েব প্রোগ্রামিং সুবিধার জন্য এটি খুবই জনপ্রিয় একটি প্রোগ্রামিং ভাষা।
৬) পাইথন কী?
উঃ পাইথন একটি বস্তু-সংশ্লিষ্ট উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা। এ ভাষার কোর সিনট্যাক্স ও সেমান্টিকস খুবই সংক্ষিপ্ত কিন্তু এর স্ট্যান্ডাড লাইব্রেরি অনেক সমৃদ্ধ। এটি একটি উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা।
৭) ৪জিএল কী?
উঃ চতুথ প্রজন্মের ভাষাকে Forth Generation Language (4GL) বলা হয়। SQL, NOMAD, RPG III, FOCUS, Visual Basic কয়েকটি চতুথ প্রজন্মের ভাষা।
৮) কম্পাইলার কী?
উঃ কম্পাইলার উচ্চস্তরের ভাষার উৎস প্রোগ্রামকে বস্তু প্রোগ্রামে অনুবাদ করে। কম্পাইলার সম্পূণ প্রোগ্রামটিকে এক সাথে পড়ে এবং এক সাথে অনুবাদ করে।
৯) ইন্টারপ্রেটার কী?
উঃ উচ্চস্তরের ভাষায় লেখা কোন প্রোগ্রামকে সরাসরি নিবাহের জন্য যে অনুবাদক ব্যবহৃত হয় তাকে ইন্টারপ্রেটার বলে।
১০) অ্যাসেম্বলার কী?
উঃ যে প্রোগ্রামের সাহায্যে অ্যাসেম্বলি ভাষার প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় রুপান্তর করা হয় তাকে অ্যাসেম্বার বলা হয়।
১১) ওওপি কী?
উঃ সাধারণ প্রোগ্রামে ডেটা ও কোডকে আলাদা ভাবা হয় ফলে বিভিন্ন মডুল ব্যবহার করতে হয় এবং এত করে অনেক সময় ভুল চলকের ব্যবহার হয়ে থাকে কিন্তু অবজেক্ট ওরিয়েন্টেট প্রোগ্রামের মডেলে ডেটা ও সংশ্লিষ্ট কোডকে একক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১২) প্রোগ্রাম ডকুমেন্টেশন কী?
উঃ সি প্রোগ্রামিং এর সময় অনেক সময় কিছু কমান্ড লিখে রাখা হয় যা প্রোগ্রামে কোন ভূমিকা রাখেনা কিন্তু এথেকে প্রোগ্রামের বিষয়ে ধারনা পাওয়া যায় তাকে প্রোগ্রাম ডকুমেন্টেশন বলে।
১৩) সি ল্যাংগুয়েজ কী?
উঃ সি ল্যাংগুয়েজ একধরনে প্রোগ্রামিং ভাষা যা ১৯৭০ সালে Dennis Ritchi আবিষ্কার করেন।
১৪) অ্যালগরিদম কী?
উঃ কোন কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে কতগুলো যৌক্তিক সিদ্ধানের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কাজ সম্পাদন করার পরিকল্পনা করাকে অ্যালগরিদম বলে।
১৫) ফ্লোচাট’ কী?
উঃ যে চিত্রের মাধ্যমে কোন সিস্টেম বা প্রোগ্রাম কিভাবে কাজ করবে তার গতিধারা প্রকাশ পায় তাকে ফ্লোচার্টৃ বা প্রবাহচিত্র বলে। ফ্লোচাট অ্যালগরিদমের চিত্র রুপ।
১৬) প্রোগ্রাম ফ্লোচাট’ কী?
উঃ যে ফ্লোচার্টে প্রোগ্রামের প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকে তাকে, প্রোগ্রাম ফ্লোচাট বলে।
১৭) সিস্টেম ফ্লোচাট’ কী?
উঃ কোন সংস্থা বা সংগঠনের সকল কাজের ধারাবাহিকতা একটি চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করলে তাকে সিস্টেম ফ্লোচাট’ বলে।
১৮) প্রোগ্রাম কম্পাইলিং কী?
উঃ উচ্চস্তরের ভাষার উৎস প্রোগ্রামকে বস্তু প্রোগ্রামে অনুবাদ করার প্রক্রিয়াকেই প্রোগ্রাম কম্পাইলিং বলে।
১৯) ডেটা টাইপ কী?
উঃ যে সকল কীওয়ার্ড্ দ্বারা প্রোগ্রামে ব্যবহৃত ভেরিয়েবলগুলোর মান নির্ধারিত হয় তাকে ডেটা টাইপ বলে।
২০) ধ্রyবক কী?
উঃ প্রোগ্রাম নির্বাহের সময় প্রোগ্রামে ব্যবহৃত যে সকল রাশির মান পরিবর্তিত হয় না সেগুলোকে ধ্রyবক বলে।
২১) চলক কী?
উঃ প্রোগ্রাম নির্বাহের সময় প্রোগ্রামে ব্যবহৃত যে সকল রাশির মান পরিবর্তিত হয় সেগুলোকে চলক বলে।
২২) লোকাল ভেরিয়েবল কী?
উঃ যেসকল ভেরিয়েবলের কার্য্কারীতা নির্দিষ্ট ফাংশনের সীমাবদ্ধ সে সকল ভেরিয়েবলকে লোকাল ভেরিয়েবল বলে।
২৩) গ্লোবাল ভেরিয়েবল কী?
উঃ যেসকল ভেরিয়েবলের কার্য্কারীতা নির্দিষ্ট ফাংশনের সীমাবদ্ধ না থেকে সমস্ত প্রোগ্রামে বিস্তত সে সকল ভেরিয়েবলকে গ্লোবাল ভেরিয়েবল বলে।
২৪) কীওয়াড কী?
উঃ বিশেষ কাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত শব্দগুলোকে কী ওযাড বলে। সি প্রোগ্রামে কিছু সংরক্ষিত শব্দ আছে যাদের কম্পাইলারের কাছে বিশেষ অর্থ্ আছে।
২৫) অপারেটর কী?
উঃ অপারেটর হলো এক ধরনের প্রতীক/চিহ্ন যা কম্পাইলারকে নির্দিষ্ট গাণিতিক বা যুক্তিমূলক কাজ সম্পাদনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে।
২৬) গাণিতিক অপারেটর কী?
উঃ সি প্রোগ্রামে বিভিন্ন রকম গাণিতিক কাজ করার জন্য যে সব অপারেটর ব্যবহৃত হয় সে সব অপারেটরকে গাণিতিক অপারেটর বলে।
২৭) রিলেশনাল অপারেটর কী?
উঃ দুটি অপারেন্ড এর মধ্যে বিভিন্ন সম্পর্ক্ প্রকাশ করতে যে অপারেটর সমুহ ব্যবহৃত হয় তাদেরকে রিলেশনাল অপারেটর বলে।
২৮) লুপ কী?
উঃ সি প্রোগ্রাম চালনার জন্য পুনরাবৃত্তি করার প্রয়োজন হয়। মূলত এ পুনরাবৃত্তি করার জন্য যে কমান্ড ব্যবহৃত হয় তাকে প্রোগ্রামের লুপ বা লুপিং বলে।
২৯) ইনপুট স্টেটমেন্ট কী?
উঃ প্রোগ্রামে চলকের মান গ্রহন করার জন্য ব্যবহৃত স্টেটমেন্টকে ইনপুট স্টেটমেন্ট বলে।
৩০) অ্যারে কী?
উঃ এক ধরনের বা সমপ্রকৃতির ডেটার সমাবেশকে অ্যারে বলা হয়। অ্যারের একটি নাম থাকে।
৩১) ফাংশন কী?
উঃ বড় কোন প্রোগ্রামকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করার পদ্ধতিকে ফাংশন বলে। ফাংশন একটি নির্দিষ্ট নামে লাইব্রেরিতে জমা থাকে এবং প্রয়োজনে সেই ফাংশনের জন্য নির্ধারিত কাজ করা যায়।
৩২) লাইব্রেরি ফাংশন কী?
উঃ যে ফাংশন পূর্বে থেকে তৈরি করা থাকে এবং ফাংশনগুলোর ফাংশন প্রোটোটাইপ বিভিন্ন হেডার ফাইলে দেয়া থাকে। এধরনের ফাংশনগুলোকে লাইব্রেরি ফাংশন বলে।
৩৩) ইউজার ডিফাইন্ড ফাংশন কী?
উঃ কাজের সুবিধার জন্য প্রচুর লাইব্রেরি ফাংশন থাকলেও প্রোগ্রামে কোন নির্দিষ্ট কাজ বার বার করার জন্য অনেক সময় ফাংশন তৈরি করতে হয়। ঐ ধরনের ফাংশনকে ইউজার ফাংশন বলে।
----------------------------
অধ্যায় - ৬
অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ১। ডেটার নিরাপত্তায় এনক্রিপশন কার্যকরী পদ্ধতি- কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উঃ ডেটাবেজেন গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ডেটা এনক্রিপশন করতে হয়। এতে করে তথ্য অঅনুমোদিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। প্রেরক নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে ডেটা এনক্রিপ করে প্রাপপের নিকট ডেটা ফাইল পাঠিয়ে দেয় এবং তথ্য ব্যবহারের পূর্বে প্রাপককে ডেটা ডিক্রিপ্ট করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রেরক প্রাপককে নিয়ম বলে দিবে। ফলে ডেটা ঝুকি মুক্ত হবে এবং ডেটাবেজের নিরাপত্তা বিধান হবে।
২। ডেটাবেজ রিলেশন তৈরির দুটি শর্ত লিখ।
উঃ দুটি টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরির শর্তগুলো নিম্নরুপ -
ক) দুটি টেবিল এক সাথে খোলা থাকতে হবে। রিলেশনাল ডেটা বেজের টেবিল দুটির মধ্যে একটি কমন ফিল্ড থাকতে হবে যা প্রাইমারী কী ও ফরেন কী ফিল্ড হিসেবে নির্বাচিত ফিল্ডের ভিত্তিতে অবশ্যই অদ্বিতীয় হতে হবে।
খ) কমন ফিল্ডের নাম, ডেটা টাইপ, ফিল্ড সাইজ, ফরম্যাট ইত্যাদি একই হতে হবে।
৩। ডেটাবেজ রিলেশন তৈরির পর প্রাইমারী কী পরিবর্তন করা যায় না কেন? ব্যাখ্যা কর।
উঃ ডেটাবেজ রিলেশন তৈরির পর প্রাইমারী কী পরিবর্তন করা যায় না। কেননা দুটি টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরির সময় একটি টেবিলের একটি ফিল্ডকে প্রাইমারী কী ও অন্য টেবিলের ঐ একই ফিল্ডকে ফরেন কী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এদের মাধ্যমে দুটি টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা হয়। যদি পরবর্তীতে প্রথম টেবিলের প্রাইমারী কী পরিবর্তন করা হয় তবে রিলেশনাল ডেটাবেজটি অকার্যকর হয়ে পড়বে।
৪। বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজ কী? ব্যাখ্যা কর।
উঃ বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজ হচ্ছে কর্পোরেট ডেটাবেজ। কেনা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা বিশেষ ধরনের প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ, পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে তাকে কর্পোরেট ডেটাবেজ বলে। কর্পোরেট ডেটাবেজ বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। কোন কোন কর্পোরেট ডেটাবেজ ইন্টারনেট ভিত্তিক। সাধারণত ডেটা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে কর্পোরেট ডেটাবেজ ব্যবহার করা হয়।
৫। RDBMS- এ ছবি ইনসার্ট করার জন্য কোন ডেটা টাইপ ব্যবহৃত হয় - ব্যাখ্যাা কর।
উঃ RDBMS- এ ছবি ইনসার্ট করার জন্য এ্যাটার্চমেন্ট ডেটা টাইপ ব্যবহৃত হয়। এটি এর থেকে অনেক সুবিধাজনক। এর মাধ্যমে ছবি, ডকুমেন্ট, স্প্রেডশিট ইত্যাদি যুক্ত করা যায়।
৬। প্রাইমারী কী ও ফরেন কী এক নয় - ব্যাখ্যা কর।
উঃ প্রাইমারী কী ও ফরেন কী এক নয়। সাধারণত দুই বা ততোধিক ফিল্ড নিয়ে একটি ফাইল বা টেবিল গঠিত হয়। এ ফিল্ডগুলোর মধ্যে যে ফিল্ডের মান অদ্বিতীয় এবং যার মাধ্যমে রেকর্ড খোঁজা ও সাজানো যায় তাকেই প্রাইমারী কী বলে। রিলেশনাল ডেটাবেজে দুই বা ততোধিক টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরির সময় একই ফিল্ড উভয় টেবিলে থাকে এতে প্রথম টেবিলের কী ফিল্ডকে প্রাইমারী কী ও দ্বিতীয় টেবিলের কী ফিল্ডকে ফরেন কী বলে। প্রাইমারী কী ও ফরেন কী এর ফিল্ড নেম, ডেটা টাইপ, ফরম্যাট ও সাইজ একই হলেও এগুলো ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য বহন করে।
৭। look up wizard টাইপে ডেটা সুনির্দিষ্ট হতে হয় - বুঝিয়ে লেখ।
উঃ look up wizard টাইপে ডেটা সুনির্দিষ্ট হতে হয়। কেননা, এর মাধ্যমে সরাসরি ডেটা এন্ট্রি না করে অন্য কোন টেবিলের ফিল্ড থেকে ডেটা পূর্বে তৈরি করা কোন টেবিলে এন্ট্রি করা যায়। এতে করে সুনির্দিষ্ট তথ্য সুনির্দিষ্ট ফিল্ডেই সঠিকভাবে এন্ট্রি করা যায়।
৮। ডেটাবেজ কেন ইনডেক্সিং করা হয়?
উঃ ইনডেক্সিং করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাইল আপডেট হয়। একটি ফিল্ডের উপর ইনডেক্সিং করলে সহজে ও অল্প সময়ে তথ্য খুজে বের করা যায়। তাছাড়া ডেটাসমুহ ইনডেক্স করলে কাজের গতি বৃদ্ধি পায়।
৯। ‘‘ডেটাবেজের কল্যাণে আজ ঘরে বসে বিশ^বিদ্যালয়ের ফরম পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে”- ব্যাখ্যা কর। উঃ
১০। কুয়েরি কমান্ড “Select Roll, Name From Student” ব্যাখ্যা কর।
উঃ “Select Roll, Name From Student” কুয়েরি কমান্ডটি লিখলে নি¤œরুপ ফলাফল প্রদর্শন করবে-
অর্থাৎ উক্ত কুয়েরি কমান্ড লিখলে Student টেবিল এর Roll ও Name ফিল্ডটি প্রদর্শিত হবে।
১১। গোপনীয়তাই ডেটা নিরাপত্তার প্রধান হাতিয়ার -ব্যাখ্যা কর।
উঃ তথ্য বা ডেটা সকল প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কোন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য যদি অঅনুমোদিত কোন ব্যক্তির কাছে তবে তার দ্বারা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং নিরাপত্তা সমন্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ডেটাবেজের নিরাপত্তায় গোপনীয়তা রক্ষাই একমাত্র হাতিয়ার।
১২। অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্টের মধ্যে পার্থক্য কী?
উঃ অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্টের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরুপ -
১৩। ডেটাবেজ ইনডেক্স ফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়- ব্যাখ্যা কর।
উঃ ইনডেক্স হচ্ছে মূল ডেটাবেজ ফাইলের কোনরুপ পরিবর্তন না করে ডেটাবেজের অন্তর্গত টেবিলের রেকর্ডসমুহকে কোন লজিক্যাল অর্ডারে সাজিয়ে রাখার পদ্ধতি।
ইনডেক্স করার পরেও ডেটাবেজে নতুন কোন রেকর্ড যুক্ত করা হলেও ইনডেক্স ফাইলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যায়। যেমন - একটি টেবিলের রোল ফিল্ডকে A to Z ইনডেক্স করা হয়েছে।
১৪। এসকিউএল কে ডেটাবেজের হাতিয়ার বলা হয় কেন?
উঃ SQL কে ডেটাবেজের হাতিয়ার বলা হয়। কেননা, ডেটাবেজের প্রয়োজনীয় কার্যপ্রক্রিয়াগুলো সবই এর মাধ্যমে করা সম্ভব। ডেটাটেবিল তৈরি, ডেটা ইনপুট, ডেটা ডিলিট, ডেটা আপডেট করা, ডেটা ইনডেক্সিং, টেবিল প্রদর্শন করা এবং ব্যবহারকারীর প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন করা। এসব কিছুই ডেটাবেজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো সবই SQL এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়।
১৫। কেন ডেটা এনক্রিপশন করতে হয়- বর্ণনা কর।
উঃ ডেটাবেজেন গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ডেটা এনক্রিপশন করতে হয়। এতে করে তথ্য অঅনুমোদিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। প্রেরক নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে ডেটা এনক্রিপ করে প্রাপপের নিকট ডেটা ফাইল পাঠিয়ে দেয় এবং তথ্য ব্যবহারের পূর্বে প্রাপককে ডেটা ডিক্রিপ্ট করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রেরক প্রাপককে নিয়ম বলে দিবে।
১৬। সর্টিং এবং ইনডেক্সিং এক নয় - ব্যাখ্যা কর।
উঃ সর্টিং এবং ইনডেক্সিং এক নয়। কারণ সর্টিং পদ্ধতিতে ডেটা ফাইলকে সর্ট করা হলে মূল ডেটা ফাইলের রেকর্ডটির ক্রমিক নং পরিবর্তন হয়। কিন্তু ইনডেক্সিং এ রেকর্ডের ক্রমিক নং অপরিবর্তীত থাকে। এছাড়াও ডেটাবেজে কোন রেকর্ড সংশোধন বা সংযোজন করলে সর্ট করা ফাইল আপডেট হয় না কিন্তু ইনডেক্সিং এর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়।
১৭। মেমো ডেটা টাইপ কেন ব্যবহার করা হয়?
উঃ মেমো জাতীয় ফিল্ডে সাধারণত বর্ণ, সংখ্যা, চিহ্ন, তারিখ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ডেটা টেবিল ডিজাইনের ক্ষেত্রে যদি কোন একটি ফিল্ডের বর্ণনামূলক তথ্যের প্রয়োজন হয় তখন মেমো ডেটা টাইপ ব্যবহার করতে হয়। সাধারণত মন্তব্য লেখার জন্য মেমো ডেটা টাইপ ফিল্ড ব্যবহার করতে হয়।
১৮। ইনডেক্সিং এর তুলনায় সটিং এ বেশি মেমোরি প্রয়োজন হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উঃ ইনডেক্সিং এর তুলনায় সটিং এ বেশি মেমোরি প্রয়োজন হয়। কারণ সর্টিং করলে ফাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা আপডেট হয় না। এতে মূল ফাইল পরিবর্তীত হয়। ইনডেক্সিং করলে ফাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা আপডেট হয়। এতে মূল ফাইল অপরিবর্তীত থাকে।
১৯। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংবলিত ডেটাবেজের ধরন ব্যাখ্যা কর।
উঃ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংবলিত ডেটাবেজ সাধারণত রিলেশনাল ডেটাবেজ। এধরনের ডেটাবেজে সাধারণত এক টেবিলের ডেটার সাথে অন্য টেবিলের ডেটার সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। এতে ডেটাবেজ মডেল ব্যবহার করে রিলেশনাল ডেটাবেজ তৈরি করা হয়।
২০। দুটি ডেটাবেজের প্রাইমারী কী ফিল্ড কখন একই হওয়া প্রয়োজন- ব্যাখ্যা কর।
উঃ দুটি ডেটাবেজের প্রাইমারী কী ফিল্ড একই হওয়া প্রয়োজন যখন নিম্নবর্ণিত শর্তে রিলেশনাল ডেটাবেজ তৈরি করা হবে-
ক) দুটি টেবিল এক সাথে খোলা থাকতে হবে। রিলেশনাল ডেটা বেজের টেবিল দুটির মধ্যে একটি কমন ফিল্ড থাকতে হবে যা প্রাইমারী কী ও ফরেন কী ফিল্ড হিসেবে নির্বাচিত ফিল্ডের ভিত্তিতে অবশ্যই অদ্বিতীয় হতে হবে।
খ) কমন ফিল্ডের নাম, ডেটা টাইপ, ফিল্ড সাইজ, ফরম্যাট ইত্যাদি একই হতে হবে।